আফগান নারীদের ওপর আরো বিধিনিষেধে উদ্বেগ জাতিসংঘের

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-08-29 20:00:56

আফগানিস্তানে নতুন করে আরোপিত আরো বিধিনিষেধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে নীতি-পুলিশের হাতে আরো বেশি ক্ষমতা দিয়ে আফগানিস্তানের নারীদের জীবনযাপন আরো বেশি কঠিন করা হয়েছে। সে কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা-ইউএন উইমেন।

ইউএন উইমেন-এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বুধবার (২৮ আগস্ট) ‘ইউএন উইমেন ডিপলি কনসার্ন বাই নিউ আফগান মোরালিটি ল’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার নতুন করে নৈতিকতা আইন (মোরালিটি ল) চালু করার কারণে জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

এই আইনে ব্যক্তিগত আচরণের ওপর আরো বেশি বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে। বিশেষ করে নারীদের ওপর এই আইন প্রয়োগ করা হবে।

এ আইন অনুসারে, আফগানিস্তানের নারীদের প্রকাশ্যে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ আইন প্রয়োগের জন্য নীতি-পুলিশের ওপর আরো ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের ২১ আগস্ট আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার ‘ল অন প্রমোশন অব ভার্চু অ্যান্ড পিভেনশন অব ভাইস’- নামে একটি আইন চালু করে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের জনগণের ওপর ব্যাপক হারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

এই আইন নারী ও মেয়েদের আরো বেশি করে শরীর আবৃত করে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শরীরের কোনো অংশ এবং মুখ প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।

এছাড়া নারীরা কোনো অমুসলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে রক্তের সম্পর্ক নেই কিংবা বৈবাহিক সম্পর্কে যুক্ত নেই এমন কোনো পুরুষের দিকে তাকাতেও পারবেন না।

৩ বছর ধরে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন সরকার নারী ও মেয়েদের ওপর ৭০টির বেশি নির্দেশনা এবং ডিক্রি জারি করে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

ইউএন উইমেনের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানে নারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বিধিনিষেধে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। উপাত্ত থেকে জানা গেছে, মাত্র ১ শতাংশ নারী মনে করেন, সমাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাদের আছে। ২ শতাংশ পুরুষের তুলনায় ৬৪ শতাংশ নারী মনে করেন ঘরে তাদের নিরাপত্তা নেই। ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত ৮ শতাংশ নারী ও মেয়েরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।

ইউএন উইমেন মনে করে, নারীদের ওপর আরোপিত এসব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক আইন নিশ্চিত করা হবে।

এ জন্য অংশীজনদের নিয়ে উইএন উইমেন একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর