যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আটলান্টিক মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় হেলেন’এ এখন পর্যন্ত ১০০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন বলছে, এই ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়াতে পারে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ঘূর্ণিঝড় হেলেন’এ ১০০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সোমবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লিজ শেরউড-র্যান্ডওয়েল জানান, দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত উত্তর ক্যারোলাইনা থেকে ৩৯ জন, দক্ষিণ ক্যারোলাইনা থেকে ২৫ জন, জর্জিয়া থেকে ১৭ জন, ফ্লোরিডা থেকে ১৪ জন, টেনেসি থেকে ৪ জন এবং ভার্জিনিয়া থেকে ১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। আমাদের আশঙ্কা, এই ঝড়ে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ে হেলেন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমার জীবনে আমি এমন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় খুব কম দেখেছি। নিখোঁজদের অনুসন্ধান এবং উপদ্রুতদের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা সর্বাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। চলতি সপ্তাহ শেষে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৬টি অঙ্গরাজ্য পরিদর্শনে যাবেন বলেও জানান জো বাইডেন। নর্থ ক্যারোলাইনা দিয়ে শুরু হবে সেই সফর। ঝড়ে এই রাজ্যটিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
এদিকে মার্কিন আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যত ঘূর্ণিঝড় আঘাত করেছে, সেগুলোর মধ্যে বিধ্বংসী ক্ষমতার নিরিখে হেলেনের অবস্থান ১৪ তম এবং প্রশস্ততা বা বেগের দিক থেকে তৃতীয়। ফ্লোরিডায় আছড়ে পড়ার সময় এই ঝড়টির বেগ ছিল ৬৭৫ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি, উত্তর ক্যারোলাইনা এবং দক্ষিণ ক্যারোলাইনার অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বর্ষণ, ঝড়ো হাওয়া এবং আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছিল।
তবে গত কয়েক দিনে বেশিরভাগ এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, বন্যার পানিও নেমে গেছে। কিন্তু এখনও সড়ক ও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত সব এলাকায় উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।