ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এরই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। এ হামলার প্রতিফলন মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। খবর- বিবিসি।
আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৪০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এটি ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে গিয়েছিল।
ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুসারে ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী এবং ওপেক তেল উৎপাদনকারী কার্টেলের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য।
ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, এ অঞ্চলে কোনো সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তা হরমুজ প্রণালী দিয়ে জাহাজ চলাচলে প্রভাব ফেলতে পারে।
ওমান ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত জাহাজ চলাচলের পথটি বৈশ্বিক তেল বাণিজ্যের প্রধান পথ। বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের ২০ শতাংশ এ পথেই হয়। এছাড়া ওপেক'র অন্যান্য সদস্য সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত এবং ইরাকও তাদের বেশিরভাগ তেল রফতানি করে এই প্রণালী দিয়ে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লেবাননে হিজবুল্লাহ'র সঙ্গে সংঘাতে মেতেছিল ইসরায়েল। হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর গত সোমবার থেকে লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরই প্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। মঙ্গলবার তেল আবিবের উদ্দেশে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
ইসরায়েল আবার এ হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।