ইসরায়েলের পাল্টা হামলার জবাবে ইরান এক হাজারেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে এবং এ হামলা আগের হামলা থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
বৃহস্পতিবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত নিয়ে যে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস, সেখানে এ তথ্য বলা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম তেহরান টাইমস।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণের জন্য পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনার মতো স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে কিংবা দেশটির শীর্ষ নেতাদের ওপর হামলা চালায় তবে তেহরান আরও কঠোর হবে। আর এতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে।
গণমাধ্যমটি জানায়, পাল্টা হামলায় ইরান এক হাজার পর্যন্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে এবং এ হামলা আগের হামলা থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হবে।
এছাড়াও পারস্য সাগর এবং হরমুজ প্রণালি দিয়ে তেল সরবরাহ এবং পরিবহনে বাধা দিয়ে বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হবে।
গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ১ অক্টোবর, ইরান হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, হিজবুল্লাহ প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি জেনারেল আব্বাস নীলফরউশানকে ইসরায়েলি হত্যার জবাবে ইসরায়েলি ইহুদিবাদী শাসকের সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটির দিকে ২০০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইরানএ অপারেশনের নাম দিয়েছে "অপারেশন ট্রু প্রমিস ২"।
এদিকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিনগত রাতে সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে ইরানে হামলা চালানোর দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে শনিবার (২৬ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলেছে, তারা ইরান এবং তার মিত্রদের দ্বারা ক্রমাগত আক্রমণের প্রেক্ষিতে এ হামলা চালাচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, তেহরান এবং কারাজ শহরের আশেপাশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।