ব্রেক্সিট ইস্যু: বরিস জনসনের কার্যালয় ঘিরে বিক্ষোভ

ইউরোপ, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-28 15:29:46

ব্রেক্সিট ইস্যুতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয়ের সামনে হাজারও মানুষ বিক্ষোভ মিছিলে সমবেত হয়েছে।

গত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত পার্লামেন্টের অধিবেশন মুলতবি রাখার ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণায় চলমান ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে তোপের মুখে পড়ে সরকার। এমনকি বিরোধী দলীয় নেতারা এ ধরণের ঘোষণা গণতন্ত্রের পরিপন্থী বলে জানান।

শনিবার (৩১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দুই হাজারেরও বেশি মানুষ বরিস জনসনের কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ২৯ আগস্ট পার্লামেন্ট ভবনের সামনে তারা অবস্থান নেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়।

বিক্ষোভকারীরা স্লোগান মিছিলে 'মিথ্যাবাদী জনসন, আমাদের গণতন্ত্র রক্ষা করুন, আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করুন'- বলে চিৎকার করতে থাকে।

এর আগে ব্রেক্সিট চুক্তিতে ব্যর্থ হয়ে গত ২৪মে থেরেসা মে পদত্যাগ করেন। তারপর ২৩ জুলাই বেশ বড় ব্যবধানে নির্বাচনে জয় লাভ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

নির্বাচন চলাকালীন সময় বরিস জনসন তার প্রচারণায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে নিয়ে আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী আসছে ৩১ অক্টোবর তার এ প্রতিশ্রুতি রাখার অর্থাৎ ব্রেক্সিট ইস্যুর শেষ দিন। এরই মধ্যে জনসন নো-ডিল ব্রেক্সিট চুক্তিতে যাবার ঘোষণা দেন। যার ধারাবাহিকতায় কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নেবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:ব্রেক্সিট ইস্যু: বিক্ষোভকারীদের তোপের মুখে প্রশাসন

ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির মধ্যে দিয়ে গেলে যুক্তরাজ্যকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। এমনকি যুক্তরাজ্যর সাধারণ মানুষ জনসনের নো-ডিল চুক্তিতে সায় দেয়নি। এ চুক্তি সম্পূর্ণ হওয়ার কিছুদিন আগেই পার্লামেন্ট দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখার ঘোষণায় বিরোধী দলীয় নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়ে তুলেছে। তাদের সমর্থন ছাড়াই অনেকটা স্বৈরতান্ত্রিক ভাবে ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির দিকে এগোচ্ছে সরকার এমন মন্তব্য করেন নেতারা।

আরও পড়ুন: ব্রেক্সিট ইস্যু: যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট মুলতবি ঘোষণা 

ব্রেক্সিটের নো-ডিল চুক্তির ফলে ব্রিটেনের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে। যার খেসারত দিতে হবে যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষকে। এমন সংকটপূর্ণ অবস্থায় যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট বন্ধ ঘোষণা করে জনসন তার স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন বলে জানান বিশ্লেষকরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর