রাষ্ট্রপতি সিসির পদত্যাগের দাবিতে মিশরে আন্দোলন

আফ্রিকা, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-28 04:24:22

মিশরের রাষ্ট্রপতি সিসির অপসারণের দাবি জানিয়ে দেশটিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। মিশরের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দেশটির বেশ কয়েকটি শহরে সমাবেশ করতে আহ্বান করেন এবং তার পদত্যাগের ডাক দেন। ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের একজন বড় ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত।

মোহাম্মাদ আলীর ডাকে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রপতি সিসির পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা মিশরের বিভিন্ন শহরগুলিতে মিছিল করছেন।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক ভিডিওতে বিক্ষোভকারীরা চিৎকার করে বলছেন, 'জেগে উঠুন, ভয় নেই, সিসিকে অবশ্যই যেতে হবে। জনগণ এই সরকারের পতন দাবি করবে।'

রাজধানী কায়রোতে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেকজান্দ্রিয়া এবং সুয়েজেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা কায়রোর তাহরি স্কয়ারের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। স্ব-নির্বাসিত মিশরীয় ব্যবসায়ী ও অভিনেতা মোহাম্মদ আলী রাষ্ট্রপতি এল সিসি'র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই বিক্ষোভে যোগ দিতে জনগণকে আহ্বান জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ সিসির অপসারণের দাবি জানালে সিসি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে 'মিথ্যা' বলে উড়িয়ে দেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আলি একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেন, যদি সিসি বৃহস্পতিবারের মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা না দেয় তবে মিশরের মানুষ শুক্রবার বিক্ষোভ করতে রাস্তায় বেরিয়ে আসবেন।

আলী সর্বপ্রথম ২ সেপ্টেম্বর তার ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন। তার সর্বশেষ ভিডিও কয়েক লাখবার দেখা হয়েছে। তার এ প্রতিবাদে মানুষের ক্ষোভ প্রতিবাদের গতি হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। আলি মানুষকে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে এবং তাদের অধিকার দাবি চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে বলেন, 'আল্লাহ মহান, যথেষ্ট হয়েছে, আমি মিশরে ফিরে আসতে চাই। মিশর এবং আমার দেশের লোককে খুব মনে পড়ছে। আল্লাহ আপনাদের সংকল্প দৃঢ় করুন।' 

শুক্রবারে এ প্রতিবাদ মিশরের ইতিহাসে ছিল একটি বিরল ঘটনা। সিসি সেনা প্রধান থাকার সময় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুরসিকে এক তথাকথিত গণ বিক্ষোভে পড়ে পদচ্যুত করা হয়। সামরিক বাহিনীর উত্থানের পরে ২০১৩ সালে মিশরে সমস্ত অননুমোদিত বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়।

এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। সরকারি টিভি এ ঘটনাগুলো আড়াল করে প্রচার করছে বলেও জানা গেছে।

সরকার সমর্থিত একটি টিভি অ্যাঙ্কর বলেছেন, বিক্ষোভস্থল ছাড়ার আগে কেবল একটি ছোট্ট প্রতিবাদকারীর দল কায়রোতে ভিডিও এবং সেলফি তুলতে জড়ো হয়েছিল। সরকার সমর্থক আরেকটি চ্যানেল জানিয়েছে, তাহরির স্কয়ারের আশপাশের পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর