বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন বন্ধ রেখেছে, দাবি মিয়ানমারের

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 18:34:34

বাংলাদেশ ইচ্ছাকৃতভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধ রেখেছে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। একইসঙ্গে কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসরত রাখাইন রাজ্যের সাত লাখেরও বেশি শরণার্থী প্রত্যাবাসনের বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের মুখপাত্র জাও হাওটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, এর ফলে শরণার্থীদের জীবনযাত্রা আরও খারাপ হচ্ছে। শিশুরা এবং প্রবীণরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশে অবস্থিত উদ্বাস্তু শিবিরগুলোতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) সদস্যরা অনুপ্রবেশ করেছে এবং সেখানে মাদকের ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়ে চলছে বলেও দাবি করেন জাও হাওটে।

তিনি বলেন, এআরএসএ-এর কর্মীরা কেবল তাদের নিজস্ব লোককে আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়।

জাও হাওটে বলেন, বাংলাদেশ যদি সহযোগিতা না করে কক্সবাজারে  শরণার্থী শিবিরগুলিতে মানবিক সংকট আরও বৃদ্ধি পাবে। এর দায় পুরোপুরি বাংলাদেশকে নিতে হবে। কারণ, আমাদের পক্ষে দীর্ঘকাল ধরে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উত্তর রাখাইনে যেসব শরণার্থী তাদের গ্রামে ফিরে যেতে চান তারা ভয় পাচ্ছেন। কারণ, তারা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে এআরএসএ তাদের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছে। যারা ফিরে আসতে চান তাদের গোপনে এটি করতে হবে।

প্রায় ৪১৫ জন শরণার্থী স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে গেছে জানিয়ে হাওটে বলেন, চীন ও জাতিসংঘ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে সক্ষম হবে।

এর আগে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর)  এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও হাওটে বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) দ্বারা মিয়ানমারে তদন্তের নির্দেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে হয়নি।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের নিজস্ব কমিটিগুলো যেকোন অবমাননার তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

গত বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর) রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও রোহিঙ্গা গণহত্যার তদন্ত শুরুর অনুমোদন দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা। এই তদন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে গণ্য হবে।

এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সামরিক বাহিনীকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে, যেটিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা গণহত্যা হিসাবে বর্ণনা করেছে। মিয়ানমার এখন গাম্বিয়ায় দায়ের করা গণহত্যা মামলার জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর