বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণঘাতী কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্ত দেশের সংখ্যাও।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যা, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০১৮। এবং আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার। এদের মধ্যে অধিকাংশই চীনের মূলভূখণ্ডের বাসিন্দা।
গত ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে ভাইরাসটি সর্বপ্রথম শনাক্ত হয় চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে। এতে আক্রান্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৭৫৪ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি ঘটছে ৩১৩৬ জনের। যাদের বেশিরভাগই করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের।
তবে চীনে কমে এসেছে করোনার প্রাদুর্ভাব। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) দেওয়া তথ্য মতে সোমবার (৯ মার্চ) দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১৯ জন। দুই মাস আগে যেখানে প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজারে মতো মানুষ।
চীনের পরে করোনার প্রাদুর্ভাব মারাত্নকভাবে বিস্তার লাভ করেছে ইতালিতে। দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৩ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯১৭২ জন। করোনার প্রাদুর্ভাবের ফলে দেশটির লম্বার্ডি অঞ্চল, উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলের ১৬ মিলিয়ন মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আদেশ দিয়েছে ইতালি সরকার। নতুন এই সিদ্ধান্ত দেশটির মূল আর্থিক কেন্দ্র মিলান ও পর্যটনের জন্য বিখ্যাত ভেনিসেও কার্যকর হবে।
চীন ও ইতালির পর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইরানে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইরানে এখন মারা গেছেন ২৩৭ জন।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইরেসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৭ হাজার ৫০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৭০৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ জন।
এদিকে, করোনাভাইরাস রোধে কার্যকর পদক্ষেপ, গবেষণা ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সহায়তার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এক কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য কোনো দেশের অনুদানের ঘোষণা এটাই প্রথম।