করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই নিষেধাজ্ঞার পরেই আরও নিম্নগামী হয়েছে বিশ্বের সমস্ত পুঁজিবাজার।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া ডোও জোন্স পুঁজিবাজারের সূচক কমেছে ১ হাজার ৫০০ পয়েন্ট।
জাপানের নিক্কেই ২২৫ পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শেয়ারের দাম ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে হংকংয়ের হাং সেং পুঁজিবাজারের শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও চীনের সাংহাই কম্পোজিট পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম ১ শতাংশ কমেছে। আর ভারতের সেনসেক্স পুঁজিবাজারের সূচক ২ হাজার ৫০০ পয়েন্ট কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ওভালে ভাষণে ট্রাম্প বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাজ্যের ওপর কার্যকর হবে না। এছাড়া ভাষণে ট্রাম্প করোনায় আক্রান্ত অসুস্থ ব্যক্তিদের ও ছোট ছোট ফার্মগুলোকে মূলধন এবং তরলতা সরবরাহ করার অঙ্গীকার করেছেন।
বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে মুডি অ্যানালিটিক্সের প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ক্যাট্রিনা এল বলেন, ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত ভয় ও আতঙ্কের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি শেষ সীমার নিকটে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার আগে মার্কিন পুঁজিবাজারগুলোর সূচক তীব্রভাবে হ্রাস পাচ্ছিল। আর ট্রাম্পের এই ঘোষণা মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্পের ভাষণের আগে ডোও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়ালের শেয়ারের দাম গড় হিসেবে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া এস এ্যান্ড পি ৫০০ পুঁজিবাজারের শেয়ারের দাম ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও নাসদাক পুঁজিবাজারের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।
এদিকে চলতি সপ্তাহে রাশিয়া ও সৌদির তেলের মূল্য নির্ধারণ যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিকে আরও মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। আর ট্রাম্পের ভাষণের পর তেলের দাম কমেছে আরও পাঁচ শতাংশ।