হাজিয়া সোফিয়ার পর এবার আরেকটি ঐতিহাসিক স্থাপনাকে মসজিদে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্কের সরকার।
সম্প্রতি দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এ সংক্রান্ত সরকারি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। পরে সরকারি আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।
স্থাপনাটি খোরা বা কারিয়া হিসেবে পরিচিত। সরকারি আদেশে এরদোগান সেটিকে মসজিদে রূপান্তর করার ঘোষণা দিয়ে তুরস্কের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
শিগগিরই স্থাপনাটি মুসলমানদের নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে এখনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ প্রকাশ করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মহররমের দশ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই মসজিদে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
হাজিয়া সোফিয়ার মতোই খোরা বা কারিয়া এতদিন জাদুঘর ছিল। চতুর্থ শতকে রোমান সম্রাট কনস্টান্টিন দ্যা গ্রেটের শাসনামলে চার্চ হিসেবে এটি গড়ে ওঠে। এগারো থেকে বারো শতকে স্থাপনাটি বর্তমান রূপ নেয়।
ষোল শতকে এটিকে মসজিদে রূপান্তর করে অটোম্যানরা। পরে ১৯৪৫ সালে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করার ঘোষণা দেয় তুরস্কের তৎকালীন ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার। গত বছর আদালত এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। তার প্রেক্ষিতে ৭৫ বছর পর এসে কারিয়াকে আবারও মসজিদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নিলেন এরদোগান।
যদিও এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে গ্রিস। একে উসকানি হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্থাপনাটিকে মসজিদের রূপান্তরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শুক্রবার স্থাপনাটির সামনে ইস্তাম্বুলের অনেক বাসিন্দা নামাজ পড়ার জন্য আসেন। কিন্তু এটি এখনও নামাজের জন্য খোলা হয়নি বলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত মাসে বিখ্যাত হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই স্থাপনায় ৮৬ বছর পর আবারও নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন মুসলিমরা।
নামাজ হলেও হাজিয়া সোফিয়া আগের মতোই সব ধর্মের মানুষের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। আগে হাজিয়া সোফিয়ায় প্রবেশমূল্য দিয়ে টিকেট কেটে ঢুকতে হতো। এখন বিনামূল্যেই পর্যটকেরা হাজিয়া সোফিয়ায় প্রবেশ করতে পারছেন।