মক্কা-মদিনায় জমজমের পানি পানে নতুন নির্দেশনা
পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববিতে রাখা জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব।
দেশটির হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্তবোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় সৃষ্টিকর্তা দয়াময় আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি চাইতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববিতে যখন কেউ জমজমের পানি পান করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে।
এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অজু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে। আর পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়।
পবিত্র হজ ও উমরা পালনকারীরা মক্কা-মদিনায় অবস্থানকালে প্রচুর জমজমের পানি পান করেন। এমনকি কাবা তওয়াফ ও সায়ীর ফাঁকে ফাঁকে জমজমে পানি পান করে তৃষ্ণা মেটান।
হজ ও উমরা থেকে ফেরার সময় প্রত্যেক হাজি তার পরিবার ও প্রিয় মানুষগুলোর জন্য জমজমের পানি নিয়ে আসেন।
মহান আল্লাহর সৃষ্টির অন্যতম নিদর্শন পবিত্র জমজম কূপ। সৌদি আরবের ভূতাত্ত্বিক জরিপ বোর্ডের জমজম কূপের ওপর একটি গবেষণাকেন্দ্র আছে। তারা বলছে, জমজম কূপের তলদেশে পানির স্তর ১০.৬ ফুট।
ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে আট হাজার লিটার পানি পাম্প করে উঠিয়ে নিয়ে পানির স্তর ৪৩.৯ ফুট পূর্ণ করলেও পাম্প থামানোর ১১ মিনিটের মধ্যে তা আবার যথারীতি আগের মতো পূর্ণ হয়ে যায়।
নবী কারিম (সা.) এই কূপের পানিকে পৃথিবীর উত্কৃষ্টতম পানি বলে আখ্যা দিয়েছেন। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের মধ্যে সর্বোত্তম পানি জমজমের পানি। তাতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাদ্য ও অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য রয়েছে।’ -তাবরানি : ১১/৯৮