মধ্য এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশ কিরগিজস্তান। ঊনিশ শতকের শেষের দিকে দেশটি রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হয়। ১৯২৪ সালে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পায়। ১৯৩৬ সালে এটিকে একটি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিরগিজস্তান তখন কিরগিজিয়া নামে পরিচিত ছিল। ১৯৯১ সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।
৭৭ হাজার ১৮২ বর্গমাইলের দেশটিতে জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখের কাছাকাছি। কিরগিজস্তানের প্রধান ধর্ম ইসলাম।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) কয়েকজন মন্ত্রীসহ তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কিরগিজস্তান যান।
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি কিরগিজস্তানে মধ্য এশিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদ উদ্বোধন করেন। মসজিদটি কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে অবস্থিত।
মসজিদ উদ্বোধনের সময় দেওয়া বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, আমি আশা করছি- এই মসজিদ কিরগিজস্তান ও তুর্কি জনগণের মধ্যে ভাষা, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিশ্বাস ও ভ্রাতৃত্বের স্মারক হয়ে থাকবে। এই মসজিদ দু’দেশের মধ্যে একতা ও শান্তি আনবে। কারণ আমরা পৃথক রাষ্ট্র হলেও এক জাতি এবং সবকিছুর ওপরে আমরা মুসলিম উম্মাহ।
৭ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের মসজিদ উদ্বোধনকালে এরদোয়ানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট সুরনবে জিনবেকভ।
উসমানীয় বা অটোমান স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি মসজিদটি নির্মাণে ৬ বছর সময় লেগেছে। এটি নির্মাণে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তুরস্ক। মসজিদটিকে সামাজিক ও ধর্মীয় কমপ্লেক্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে। মসজিদ প্রাঙ্গণে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। রয়েছে সুপরিসর পার্কিং এলাকা। মধ্য এশিয়ায় এটিই এ ধরণের বৃহত্তম মসজিদ।
২০১২ সালে ৩৫ একর জমির ওপর মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১১ শতকের একজন প্রসিদ্ধ আলেমের নামে এর নামকরণ করা হয়েছে।
মসজিদটিতে ৬৮ মিটার উঁচু চারটি মিনার রয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৯ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। আর মূল মসজিদ এবং এর চত্বর মিলিয়ে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন ৩০ হাজার মুসল্লি।