সরকারের সঙ্গে কোনোরূপ বৈরিতা সৃষ্টি হেফাজতের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছেন অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমি।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্তৃক মামলা দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তিনি।
হেফাজত মহাসচিব বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, একটি অশুভ শক্তি আলেম-উলামা ও তওহিদি জনতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, কটূক্তি ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশব্যাপী ওয়াজ মাহফিলে বাধাদানের ঘটনা ঘটছে। এর ধারাবাহিকতায় হেফাজত আমিরসহ দেশবরেণ্য দু’জন আলেমের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করেছে। আমরা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ওয়াজ মাহফিলে বাধাদান এবং আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। সুতরাং ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যাদান ও গোমরাহীর পথ পরিহারের আহ্বান জানানো আলেম সমাজের সাংবিধানিক অধিকার এবং ধর্মীয় কর্তব্য। কোনো ব্যক্তি বিশেষ, সংগঠন কিংবা সরকার আলেমদের এই কর্তব্য পালনে হস্তক্ষেপ করার বৈধতা রাখে না।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমি বলেন, ভাস্কর্য ইস্যুতে আলেম সমাজ ইসলামের বিধান ব্যাখ্যা করে ভুল পদক্ষেপ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং এ বিষয়ে শরিয়তের ফতোয়া প্রচার করেছেন। বাংলাদেশের স্থপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের রূহের মাগফিরাত, শান্তি এবং তার স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখতে ইসলামসম্মত উত্তম উপায় খুঁজে বের করতে পরামর্শ দিয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম এই ইস্যুতে এখন পর্যন্ত কোনো কর্মসূচি দেয়নি। কিন্তু কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল হেফাজতের নামে মিথ্যাচার ও উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে।
হেফাজত মহাসিচিব বলেন, দেশবাসী ষড়যন্ত্রকারীদের অসৎ উদ্দেশ্য কখনও সফল হতে দেবে না।
সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আলেম-উলামার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করুন। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। ভাস্কর্য বিষয়ে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের বক্তব্য ও ফতোয়া অনুধাবন করে সঠিক পদক্ষেপ নিন। ওয়াজ মাহফিল ও দাওয়াতি কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্নের পথ সুগম করুন।