ময়মনসিংহের সর্বজনমান্য প্রবীণ আলেম মুফতি ফজলুল হক বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মুফতি ফজলুল হকের মৃত্যুর খবরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলেম-উলামা ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
আগামীকাল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢোলাদিয়ায় গলগণ্ডা গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মুফতি ফজলুল হক ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মনীষীদের সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ও স্নেহধন্য শাগরেদ। তিনি নিজেও অত্যন্ত উঁচুমাপের প্রবাদতুল্য আলেম ছিলেন।
দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ও খতিব, ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর ফতোয়া বোর্ডের সভাপতি, জামিয়া ইসলামিয়া সেহড়া-মোমেনশাহীর শায়খুল হাদিস ও মুক্তাগাছা আব্বাছিয়া কামিল মাদ্রাসায় হেড মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আলিয়া মাদ্রাসায় কামিল পাস করে লালবাগ মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ালেখা করেছেন৷
শায়খ জাকারিয়া (রহ.)-এর এই শাগরেদ শিক্ষাজীবন শেষ করে মুক্তাগাছা আব্বাসিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় কর্মজীবন শুরু করেন। ওই সময় জামিয়া আশরাফিয়া খাগডহরেও হাদিসের দরস দিয়েছেন।
মুফতি ফজলুল হক সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্থ ছিলেন। তথ্য ও যুক্তিভিত্তিক মাসয়ালা ও ফতোয়া উপস্থাপনে তার পারঙ্গমতা ছিলো প্রবাদতুল্য। মুফতি ফজলুল হককে বলা হয়- কিতাবপত্রের মানুষ। এককভাবে মুফতি সাহেবের বাসার কিতাব সংগ্রহ ঈর্ষণীয়৷
মুফতি ফজলুল হক তিন ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। করোনাকালে তার এক ছেলে ইন্তেকাল করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।