তুরস্কের অলি-গলিতে রয়েছে অপূর্ব সৃষ্টি শৈলীর ইসলামি স্থাপত্য। ইসলামি স্থাপত্যের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- মসজিদ। তুরস্কের ইস্তাম্বুলেই রয়েছে ৩ হাজারের বেশি মসজিদ।
তুরস্কের মসজিদগুলো বিশ্বের অন্যান্য মসজিদ থেকে সৌন্দর্যের দিক দিয়ে ভিন্ন ও এগিয়ে। এসব মসজিদ তুরস্কের স্থাপত্যের পরিচয় বহন করে। কিছু মসজিদের স্থাপত্যকে হার মানাতে পারেনি আজকের আধুনিক স্থাপত্যবিদ্যাও। এবার তুরস্কের সেসব ঐতিহাসিক মসজিদের মধ্যে কাঠের খুঁটিবিশিষ্ট পাঁচটি মসজিদকে বিশ্বের ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।
সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইনেসকোর ৪৫তম অধিবেশনে হাইপোস্টাইল এসব মসজিদকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ নুরি আরসাবি জানান, কাঠের স্তম্ভবিশিষ্ট এসব মসজিদকে ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো।
ত্রয়োদশ থেকে চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে তুরস্ক স্থাপত্যশৈলীতে আনাতোলিয়া অঞ্চলে এসব মসজিদ নির্মাণ করা হয়। সেই সময় মধ্য এশিয়ার খোরাসান অঞ্চল পর্যন্ত এই শৈলীর ব্যাপক প্রচলন ছিল।
এ নিয়ে তুরস্কের ২১টি স্থাপনা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়া মসজিদগুলো হলো পশ্চিম আফিয়ন প্রদেশের গ্র্যান্ড মসজিদ, এসকিহির প্রদেশের সিভরিহিসার গ্র্যান্ড মসজিদ, রাজধানী আংকারার আহি সেরাফেদ্দিন (আসলানহেন) মসজিদ, মধ্য কোনিয়া প্রদেশের এসরেফোগলু মসজিদ এবং উত্তর কাস্তামোনু প্রদেশের মাহমুত বে মসজিদ।
এক বিবৃতিতে ইউনেসকো জানায়, এসব মসজিদ স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণত অন্য কোথাও এমন নির্মাণশৈলী দেখা যায় না। মসজিদের বাইরে পাথরের গাঁথুনি এবং ভেতরে কাঠের কলাম (হাইপোস্টাইল) রয়েছে, যা কাঠের সমতল ছাদ ও ওপরের অংশকে সুদৃঢ় করে। সুদক্ষ হাতে সূক্ষ্ম কাঠের খোদাই, কারুকার্য ও অনিন্দ্য সুন্দর স্থাপত্যের জন্য এসব মসজিদ খুবই বিখ্যাত।