মাহে রবিউল আউয়াল উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে শুরু হওয়া ইসলামি বইমেলায় এখন বিদায়ের সুর বাজছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া মেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। আগামী ২৭ অক্টোবর শুক্রবার শেষ হবে বইপ্রেমীদের এই মিলনমেলা।
এ বছর মেলায় মোট ৬৪টি ইসলামি প্রকাশনা অংশগ্রহণ করেছে। মেলা খোলা থাকছে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ, তাফসির, হাদিসগ্রন্থসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর মৌলিক ও গবেষণামূলক গ্রন্থ স্থান পেয়েছে।
মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টলে সব বই ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য স্টলের বইয়েও রয়েছে একই ধরনের ছাড়।
ইসলামি বইমেলা ইতোমধ্যে বইপ্রেমীদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অনেক স্টলে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। সেই সঙ্গে দেখা গেছে পাঠকদের ব্যাপক উচ্ছ্বাস। ইসলামপ্রিয় পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের এক মহামিলন মেলায় রূপ নিয়েছে ইসলামি বইমেলা। এ শুধু বইমেলা নয়, ইসলামপ্রিয় জনতার এ এক প্রাণের মেলা।
প্রায় প্রতিদিনই মেলায় আসছেন ইসলামি অঙ্গনের সুপরিচিত লেখক, অনুবাদক, সম্পাদক ও আলেম-ওলামারা। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে মেলার পরিবেশ।
বিকেল বেলায় বায়তুল মোকাররম চত্বরে বসছে লেখক-পাঠক মিলনমেলা। হচ্ছে বিভিন্ন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
এবারের মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বই বিক্রয় কেন্দ্র, বই ঘর, সমকালীন প্রকাশন, কালান্তর প্রকাশনী, চেতনা প্রকাশন, মাকতাবাতুল ফোরকান, সালসাবীল পাবলিকেশন্স, ইত্তেহাদ পাবলিকেশন্স, রফরফ প্রকাশনীসহ ৬৪টি স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।
এ বছর মেলায় পাঠকদের ব্যাপক সমাগমে বই বিক্রি বেড়েছে আশাতীত পরিমাণে। সাধারণত বিকেল থেকে পাঠকদের ভিড় শুরু হয়, যা রাত অবধি চলতে থাকে। তবে মেলার পরিসর খুবই ছোট্ট হওয়ায় পাঠকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বই দেখতে ও কিনতে পারছেন না। বিশেষত বিকেলের উপচেপড়া ভিড়ের মধ্যে খুবই অস্বস্তিতে পড়েন পাঠকরা।
তা ছাড়া বসার কোনো স্থান না থাকায় মেলায় আসা শিশু-কিশোররা সমস্যায় পড়ছে অনেক বেশি। এসব সমস্যা সমাধানে আরো বড় পরিসরে ইসলামি বইমেলার আয়োজন করলে আগ্রহী সব প্রকাশক মেলায় অংশ নিতে পারবেন এবং পাঠকরাও আনন্দচিত্তে মেলায় বই কেনাকাটা করতে পারবেন। তাই এই মেলা আরও বড় পরিসরে হওয়া উচিত। আরও বেশি স্টল বরাদ্দ দেওয়া দরকার।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পশ্চিম পাশের রাস্তা মেলার জন্য বরাদ্দ দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সহজেই করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি। বিষয়টির প্রতি ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি দেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।