মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টিকটকার মেগান রাইস। সম্প্রতি তিনি টিকটকে গাজা যুদ্ধের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি এতো এতো ধ্বংসযজ্ঞের পরও ফিলিস্তিনিদের অটল বিশ্বাসে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। তাদের এই দৃঢ়তার প্রশংসাও করেন তিনি।
প্রচারিত ভিডিওতে অনেকেই কমেন্ট করেন। সেখানে তারা বলেছেন, এই দৃঢ়তার পেছনে রয়েছে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস। এতে তিনি খুবই বিস্মিত হন। একটি বিশ্বাসের জন্য কেমন করে জীবন দিয়ে যাচ্ছে শত শত মানুষ! শত নির্যাতনের পরও অটল রয়েছে অনুসারীরা। এতে ইসলাম সম্পর্কে জানার আগ্রহ হয় তার।
তিনি নানা মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া দুষ্কর। ইসলাম সম্পর্কে নানা প্রবন্ধ-নিবন্ধ পড়লেন। তেমন ভালো কোনো তথ্য পেলেন না। এতে তার বিশ্বাস হলো না। তিনি ভাবলেন, যে বিশ্বাসের জন্য অনুসারীরা এভাবে জীবন দিয়ে দিতে পারে, কষ্ট সহ্য কতে পারে- সেটা এতোটা নেতিবাচক হতে পারে না। সেজন্য তিনি আরো অগ্রসর হলেন। ইসলামের পবিত্রগ্রন্থ কোরআন মাজিদ পড়া শুরু করলেন।
তিনি যতই কোরআন মাজিদের গভীরে প্রবেশ করছেন, তার বিস্ময় আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি একে একে কোরআন মাজিদের নানা ঘটনা পড়ছেন, বিভিন্ন সাম্যপূর্ণ বিধান দেখছেন, এভাবে তিনি অনুভব করলেন যে ইসলাম সম্পর্কে তার জ্ঞান সত্যিই সীমিত ছিল। তিনি ইসলাম বলতে কেবল বুঝতেন, কোনো বাধা ছাড়াই ইসলামে নারীদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো যাবে। আবার ইচ্ছে হলো পুরুষ ফিরিয়েও নিতে পারবে। এছাড়া ইসলামে তেমন স্বাধীনতাও নেই।
কোরআন মাজিদ পড়ার পর তার মন পরিবর্তন হয়ে যায়। ইসলামের সৌন্দর্যে তিনি বিমোহিত হন। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি স্বীকার করেছেন যে, কিভাবে তার ইসলাম সম্পর্কে পূর্বের ধারণা পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। তিনি কোরআন মাজিদের প্রতি তার শ্রদ্ধা প্রকাশ করে বলেছেন, কোরআনে কারিমের নীতিগুলো তার আদর্শ ও বিশ্বাসের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই ঘটনার পর একটি ভিডিওতে মেগানকে শাহাদা (কালেমা শাহাদাত) পাঠ করতে এবং প্রকাশ্যে ইসলাম গ্রহণ করতে দেখা গেছে।