করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর হজযাত্রীর সংখ্যা সীমিত থাকলেও আসন্ন হজে তা সীমিত রাখবে না বলে জানিয়েছে সৌদি সরকার। থাকবে না কোনো বয়সসীমাও, উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে করোনা টিকার সনদের শর্ত। সহজ করা হচ্ছে ভিসা প্রক্রিয়া।
দেশটির হজ ও ওমরাবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া এসব কথা জানান। রাজধানী রিয়াদে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীর সংখ্যা করোনা মহামারির আগের সময়ের মতো করা হবে। এতে কোনো বয়সসীমা থাকবে না। আমরা স্বাভাবিক পরিস্থিতির হজ ব্যবস্থাপায় ফিরছি- ইনশাআল্লাহ।’
ইসলামে পাঁচটি ফরজের মধ্যে হজ একটি। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।
করোনার আগে ২০১৯ সালের হজে ২৫ লাখ মুসলমান অংশ নেন। পরের দুই বছর মহামারীর কারণে হজযাত্রীর সংখ্যা কমানো হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী হজ পালন করেছেন। সে সময় হজযাত্রীদের বয়সসীমা ৬৫ বছরের নিচে সীমিত রাখা হয়। বাধ্যতামূলক করা হয় করোনার টিকা ও নেগেটিভ সনদ।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু করেছে। সৌদি আরব হজের সেবাদানকারী কোম্পানীর নিবন্ধনে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে।
বাংলাদেশে ১৫ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের হজের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধন শুরু করেছেন হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা। নিবন্ধন প্রক্রিয়া রোববার (১০ ডিসেম্বর) শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আশানুরূপ নিবন্ধন না হওয়ায় সময় বাড়ানো হবে।
এ পর্যন্ত হজ পালনে ইচ্ছুক ৪ হাজার ৫৯৬ জন নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ১২৯ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৪৬৭ জন নিবন্ধন করেছেন। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ থেকে আগামী বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি কোটায় ১ লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন।
নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে। সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।