মসজিদ আল্লাহর ঘর। তা আল্লাহর সব শ্রেণির বান্দার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেখানে তারা নির্বিঘ্নে ইবাদত করবে। মসজিদে আল্লাহর ইবাদত ও দ্বিনি কাজ করতে বাধা দেওয়া জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহতায়ালা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যে আল্লাহর মসজিদে তার নাম (আল্লাহর নাম, ইবাদত-বন্দেগি) স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং তা বিরান করতে প্রয়াসী হয়, তার চেয়ে বড় জালিম আর কে...?’ -সুরা বাকারা : ১১৪
মসজিদের নাম সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। যা শ্রুতিমধুর ও অর্থবহ হবে। মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা, বায়তুল মামুর ইত্যাদি নামের ভেতর যেসব বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। তবে স্থান ও ব্যক্তির নাম অনুযায়ী মসজিদের নামকরণও বৈধ। যেমন- হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এই মসজিদে এক নামাজ পড়া অন্য মসজিদে এক হাজার নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারামের কথা ভিন্ন।’ -ইবনে মাজাহ : ১৪০৬
মসজিদে প্রবেশের পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক। শুধু পবিত্রতা নয় বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করাও আবশ্যক। মুসলিমরা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে মসজিদে যাবে। এমনকি শরীরে বা পোশাকে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ থাকলে তাও দূর করে নেবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানব সন্তান! তোমরা প্রতি নামাজের সময় তোমাদের সৌন্দর্য (পবিত্র পোশাক) গ্রহণ করো।’ -সুরা আরাফ : ৩১
মসজিদ পরিচ্ছন্ন রাখাও মুসলিম সমাজের দায়িত্ব। মসজিদে ময়লা-আবর্জনা ফেলবে না এবং কোনো ময়লা চোখে পড়লে তা নিজ থেকে পরিষ্কার করা উচিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে থুতু ফেলা পাপ। এ পাপের মার্জনা হলো তা পরিষ্কার করা।’ -সহিহ ইবনে হিব্বান : ১৬৩৭
হাদিস ও ফিকহের গ্রন্থগুলোতে মসজিদে প্রবেশের পর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত বেশ কিছু আদব বা শিষ্টাচার বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো রক্ষা করা আবশ্যক। যেমন- ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা, বিসমিল্লাহ ও দোয়া পাঠ করা, ইতিকাফের নিয়ত করা, দুই রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ নামাজ আদায় করা, আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকা, মানুষের ইবাদত বিঘ্ন হয় এমন সব কাজ পরিহার করা, ইস্তেগফার ও দোয়া পড়তে পড়তে বের হওয়া, বাঁ পা দিয়ে বের হওয়া ইত্যাদি। -আহকামুল মাসাজিদ : ৪৩১-৩৫