পরকালে সব মানুষকে তার ভালো-মন্দ কাজের হিসাব দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কোনো মানুষ কৃতকর্মের হিসাব এড়িয়ে যেতে পারবে না। তবে যারা আল্লাহর নিকটতম বান্দা, তাদের হিসাব সহজ হবে এবং যারা আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত তাদের হিসাব হবে কঠিন। মৃত্যুর পরই মানুষের হিসাব শুরু হয়ে যায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে আছে।’ -সুরা আম্বিয়া : ১
আয়াতে বর্ণিত হিসাবের সময় হলো- কেয়ামত। যা প্রতি সেকেন্ড মানুষের নিকটবর্তী হচ্ছে। আর প্রতিটি আগমনকারী জিনিসই নিকটবর্তী এবং প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যু স্বস্থানে তার নিজের জন্য কেয়ামত। তাছাড়া বিগত যুগসমূহের তুলনায় কেয়ামত নিকটে, কারণ (বিশ্বসৃষ্টির পর থেকে) যে সব যুগ পার হয়ে গেছে, তা অপেক্ষা অবশিষ্ট যুগ অতি অল্প।
কিন্তু মানুষ পরকালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া থেকে অমনোযোগী, এই অমনোযোগীতার কারণে মৃত্যুর পর মানুষ অনেক বিষয়ে আফসোস করবে। সেই আফসোসের বিষয়গুলো হলো-
● ‘হায়! আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।’ -সুরা নাবা : ৪০
● ‘হায়! যদি পরকালের জন্য কিছু করতাম।’ -সুরা ফজর : ২৪
● ‘হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেওয়া হতো।’ -সুরা আল-হাক্কা : ২৫
● ‘হায়! আমি যদি ওকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।’ -সুরা ফুরকান : ২৮
● ‘হায়! আমরা যদি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করতাম।’ -সুরা আহজাব : ৬৬
● ‘হায়! আমি যদি রাসুল (সা.)-এর পথ অবলম্বন করতাম।’ -সুরা ফুরকান : ২৭
● ‘হায়! আমিও যদি তাদের সঙ্গে থাকতাম, তা হলে বিরাট সফলতা লাভ করতে পারতাম।’ -সুরা আন-নিসা : ৭৩
● ‘হায়! আমি যদি আমার রবের সঙ্গে কাউকে শরিক না করতাম।’ -সুরা কাহাফ : ৪২
● ‘হায়! এমন যদি কোনো অবস্থা হতো- আমাদেরকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হতো, আমরা আমাদের প্রভুকে মিথ্যা প্রতিপন্ন না করতাম আর আমরা হতাম ঈমানদারদের শামিল।’ -সুরা আনআম : ২৭