পবিত্র রমজান মাসে উমরা করতে অসংখ্য মুসলিম সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন। এ সময় মসজিদে হারামে মুসল্লিদের চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার। এর অংশ হিসেবে মুসল্লিদের মক্কার হারাম সীমান্তের যেকোনো মসজিদে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ লক্ষে পবিত্র কাবাঘরের সামনের স্থান ছাড়া মসজিদের অন্য স্থানে নামাজ পড়তে বলা হয়। এরপর রমজান মাসে একাধিক উমরা পালনে বারণ করা হয়।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে মক্কা নগর ও পবিত্র ভূমি বিষয়ক রয়েল কমিশন ‘অল অব মক্কা ইজ হারাম’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন চালু করে।
রয়েল কমিশন হারাম সীমানার মধ্যে যেকোনো মসজিদে নামাজ পড়ার ওপর জোর দিচ্ছে। মক্কার বাসিন্দা, দর্শনার্থী, উমরাযাত্রীসহ সবার উদ্দেশে বলা হয়, ‘হারাম সীমান্তের মধ্যে পুরো এলাকার যেকোনো মসজিদে নামাজ পড়লে বড় সওয়াব পাওয়া যেতে পারে।’
রয়েল কমিশন বিবৃতিতে জানায়, মক্কায় যে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি মুসল্লিরা উপলব্ধি করেন তা শুধু গ্র্যান্ড মসজিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা হারাম সীমান্তের মধ্যে অন্য মসজিদও বিশেষ এই প্রতিদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন- মক্কার আয়েশা মসজিদ, আল রাজি মসজিদ, আল বালাদ আল আমিন কমপ্লেক্স মসজিদ, আবদুল কাদির আল নুসাইর মসজিদ, আল মুহাজিরিন মসজিদ, কিং আবদুল আজিজ মসজিদ, প্রিন্সেস ফাহদা আল-সুদাইরি মসজিদ ও শেখ ইবনে বাজ মসজিদসহ মক্কার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত মসজিদগুলো অন্যতম।
উল্লেখ্য, ইসলামে মক্কার নিষিদ্ধ তথা সম্মানিত এলাকাকে হারাম বলা হয়। হারামের সীমানার মোট আয়তন ৫৬০ বর্গকিলোমিটার।
এর ভৌগোলিক সীমারেখা হলো, মক্কার উত্তরে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত আল-তানিম বিস্তৃত। আর পশ্চিমে জেদ্দা গভর্নরেটের দিকে ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণে আরাফাতের ময়দান থেকে পবিত্র মসজিদে হারামের দিকে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পূর্বে জারানার দিকে ১৪.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।