হজযাত্রীদের সেবায় সৌদি ঐতিহ্য



রাহাফ জামবি
অতীতে হজযাত্রীরা দীর্ঘসময় নিয়ে জাহাজে করে আসতেন জেদ্দায়, ছবি: সংগৃহীত

অতীতে হজযাত্রীরা দীর্ঘসময় নিয়ে জাহাজে করে আসতেন জেদ্দায়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষাটের দশকে বেশিরভাগ মানুষ পবিত্র হজপালন করতে আসতেন জলপথে অর্থাৎ জাহাজে। কোনো হজযাত্রীর জেদ্দাবন্দরে পৌঁছাতে চার-পাঁচ মাস সময় লেগে যেত। জেদ্দায় আসার পরে চড়তে হতো মক্কার বাসে। এ সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের যাত্রার সঙ্গী হতেন একজন মুতাওয়িফ।

মুতাওয়িফ হলেন একজন গাইড, হজযাত্রীদের সেবা প্রদানকারী। তিনি মক্কা-মদিনায় হজযাত্রীদের নানাভাবে, নানাক্ষেত্রে সহায়তা করেন এবং তাদের যত্ন নেন, আবাসান ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে একজন মুতাওয়িফ পারিবারিকভাবে দায়িত্বটি পালন করতেন এবং এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এভাবেই রীতিটি হস্তান্তরিত হতো। একসময় এই অতীত রীতি ব্যক্তি পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।

রিয়াদের বাসিন্দা হায়াত ইদ একজন সাবেক মুতাওয়িফ। তিনি অতীতের কথা স্মরণ করে বলেন, এ সময়টাতে তিনি তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে, বাড়িতে ধূপ জ্বালিয়ে দূর থেকে আসা হজযাত্রীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকতেন।

ইদের দাদা একসময় হজযাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতেন এবং সেগুলো নিজেই পরিষ্কার করতেন। তিনি হজযাত্রীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য সুপারভাইজার এবং অনুবাদক নিয়োগ করতেন। পরে এ দায়িত্ব বর্তায় তার ছেলে ইদের বাবার হাতে।

হায়াত ইদের বাবা জামিল আবদুর রহমান ইদ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হজযাত্রীদের ‘শায়খ’ (শায়খ একটি সম্মানসূচক পদবি। এটি সাধারণত ধর্মীয় শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো। তবে সৌদি আরবে কোনো বিষয়ে অভিজ্ঞদের পদবি হিসেবেও শায়খ ব্যবহৃত হয়।) ছিলেন বলে জানান তিনি। জনসাধারণের মাঝে মুতাওয়িফদের শায়খ হিসেবেই পরিচিতি ছিল।

ইদ পরিবার বংশ পরম্পরায় হাজিদের সেবা করে আসছেন, ছবি: সংগৃহীত

হায়াত ইদ বলেন, ‘আমার দাদার পাশাপাশি দাদীও মুতাওয়িফ ছিলেন। আমার দাদা ছিলেন ‘জাভার শায়খ’ অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়া থেকে আগত হজযাত্রীদের সেবা করতেন তিনি। আমার দাদা-দাদি মারা যাওয়ার পর আমার বাবা মুতাওয়িফের পদ গ্রহণ করেন।’

যাট ও সত্তরের দশকের সেই দিনগুলোর কথা মনে করে ৫০ বছর বয়সী ইদ বলেন, হজযাত্রীরা তার পরিবারকে চিঠি পাঠাতেন যেন তাদের আবাসনের সুযোগ হয়। হজযাত্রীদের জন্য ঈদের সময় বাড়তি খাবারেরও প্রস্তুতি নিত তার পরিবার।

শায়খরা হজযাত্রীদের হজের আচার-অনুষ্ঠান এবং তাদের কী করা উচিত সেসব বুঝিয়ে দিতেন। তাদেরকে মক্কা এবং অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়া এবং সঙ্গে করে বাড়ি ফিরে আনার দায়িত্ব ছিল তাদের।

এ সময় তার ভাই আদেল ইদ বলেন, মুতাওয়িফের ভূমিকা অতীতে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান ছিল কিন্তু এখন এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ভূমিকায় পরিণত হয়েছে।

হজযাত্রীদের খাবারের প্রস্তুতি, ছবি: সংগৃহীত

প্রত্যেক মুতাওয়িফকে তাদের সামর্থ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্টসংখ্যক হজযাত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হত। কেউ মাত্র ১০০ জনের দায়িত্ব নিত, আবার অনেকে ১ হাজার জনেরও দায়িত্ব নিতে পারত। তবে তাদের অবশ্যই হজযাত্রীদের ভাষা বোঝার জন্য বা তাদের সঙ্গে কথা বলতে দোভাষী নিয়োগ দিতে হত।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মুতাওয়িফ একাই হজযাত্রীদের সেবা করতে পারতেন। তারা নির্দিষ্ট এলাকার হজযাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে সেবা প্রদানের জন্য সেসব দেশে ভ্রমণ করতেন এবং তাদের বিভিন্ন বিষয়গুলো শিখে আসতেন। তাদের খাদ্যাভ্যাস, রুচি, আচার-আচরণ ও ভাষা রপ্ত করাও ছিল একজন মুতাওয়িফের বিশেষ গুণ।

ইদ পরিবার ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা হজযাত্রীদের সহায়তা করত। তাই তারা মালয় ভাষা এবং তাদের মেহমানদের পছন্দের মশলা এবং খাবার সম্পর্কে শিখেছিলেন, যেন তারা হজযাত্রীদের যতটা সম্ভব মক্কাকে নিজের বাড়ি অনুভব করাতে পারেন।

একইভাবে ৪৬ বছর বয়সী উইজদান আবদুর রাজ্জাক লুলু বুকাস উত্তরাধিকারসূত্রে মুতাওয়িফের পেশা পেয়েছেন। তিনি মালয় ভাষায় সাবলীল ছিলেন। তার বাবা এবং দাদার কাছ থেকে মালয় ভাষা রপ্ত করেন তিনি।

১৯৯৩ সালে হজযাত্রীদের সঙ্গে আবদুর রাজ্জাক লুলু বুকাস, ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, কিছু জাতীয়তা বা দেশের ভাষা অন্যদের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে আমরা সে দেশের অনুবাদক নিয়োগ দিই। উদাহরণস্বরূপ, আমরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হজযাত্রীদের সেবাপ্রদানের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলি। কিন্তু চীনা ভাষা কঠিন, তাই আমরা চীনা যাত্রীদের জন্য একজন দক্ষ অনুবাদক নিয়োগ দিয়েছি।

বুকাস বলেন, কিছু হজযাত্রী ঈদুল আজহায় মুতাওয়িফকে উপহার দেওয়ার জন্য উপহার হিসেবে সোনা বা মুক্তা নিয়ে আসতেন। তার বাবা, আবদুল হান্নান লুলু বুকাস হজযাত্রীদের কাছ থেকে অনেক উপহার পেয়েছেন বলে তার নামের সঙ্গে লুলু যোগ করেছেন যার অর্থ মনিমুক্তা।

মুতাওয়িফ থাকা অবস্থায় ঘটা এক অবিস্মরণীয় পরিস্থিতির বর্ণনা করেন বুকাস। তিনি একজন গর্ভবতী নারী হজযাত্রীর কথা বলেন, যিনি হজে এসে বাচ্চা জন্ম দিয়েছিলেন। তিনিই তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং ওই নারী নিরাপদে সন্তান জন্ম দেন।

বুকাস বলেন, তিনি বছরের পর বছর ধরে হজের বহু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তবে বর্তমান সময়ে বেশ ভালোই পরিস্থিতির পরিবর্তন দেখেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, অতীতে এবং আধুনিক সময়ের হজের মধ্যে পার্থক্য হলো- যাতায়াত ও আবাসনের অসুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগে কয়েক মাস সময় লেগে যেত। যা এখন মাত্র ঘণ্টায় সমাধান হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সৌদি সরকারের প্রশাসনিক সুবিধার বিষয়টির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আরব নিউজ থেকে অনুবাদ আসমা ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম

   

‘খুতুবাতে আইয়ূবীর’ মোড়ক উন্মোচন

৯০০ টাকার বই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
খুতুবাতে আইয়ূবীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এক কপি বই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

খুতুবাতে আইয়ূবীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এক কপি বই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একটি বই লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হলো। পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই নিলামে অংশ নেন বেশ কয়েকজন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা বইটি পান। বইয়ে দেশ বরেণ্য আলেমদের অটোগ্রাফ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১ জুন) সকাল ৯টায় সাভারের আলমনগরে অবস্থিত মারকাযুত তারবিয়াহ মিলনায়তনে মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর বয়ান সংকলন ‘খুতুবাতে আইয়ূবীর’ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

৪৮০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে দেশের জনপ্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল আযহার। মুদ্রিত মূল্য ৯০০ টাকা মাত্র।

খুতুবাতে আইয়ূবীর সম্পাদক মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান এবং টেলিভিশনের জনপ্রিয় উপস্থাপন মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানীর যৌথ সঞ্চালনায় প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন।

খুতুবাতে আইয়ূবীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথিদের একাংশ, ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর চৌধুরী, মাওলানা যাইনুল আবিদীন, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমি, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমি, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আবদুল বাসেত খান, মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী মাসুম, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, জহির উদ্দিন বাবর, হুমায়ুন আইয়ুব, মাওলানা মুনীরুল ইসলাম, মাওলানা সালাউদ্দীন মাসউদ, আশিকুর রহমান, মাওলানা শোয়াইব আহমদসহ অনেকই বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ করে বইটির একটি কপি নিলামে তোলার ঘোষণা দেন মুফতি এনায়েতুল্লাহ। এতে অনেকেই অংশ নেন। পরে সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি ইসরাফিল। পরে উপস্থিত অতিথিদের অটোগ্রাফসহ বইটি তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। দেশের আলোচিত মুফাসসিরে কোরআন।

তার বয়ান শোনার জন্য মানুষ উৎকর্ণ হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় তার যুগান্তকারী বয়ানগুলো সংকলনের দাবি ওঠতে থাকে ভক্তমহল থেকে। অবশেষে তা আলোর মুখ দেখল।

মাওলানা আশিকুর রহমান, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ (সম্পাদক, মাসিক কলমদানি) ও মাওলানা শুয়াইব আহমাদ বয়ানগুলো গ্রন্থনা করেছেন। সম্পাদনা করেছেন মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান।

মাওলানা আইয়ূবীর অসংখ্য বয়ান থেকে বাছাই করে অতিগুরুত্বপূর্ণ ২১টি বয়ান ছোট শিরোনামে বিস্তারিতভাবে সংকলন করা হয়েছে গ্রন্থটিতে।

;

আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে ধর্ম পালন করুন



আবদুল ওয়াহাব, অতিথি লেখক, ইসলাম
সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে, এটাই ইসলামের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে, এটাই ইসলামের নির্দেশ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বলা হয়, বাঙালি জাতি অন্য জাতির থেকে একটু বেশি আবেগপ্রবণ। তবে আবেগি হওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু বিবেক-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে অতি আবেগি হয়ে কোনো কাজ করলে তা অনেক সময় ভয়ানক হতে পারে। তাই আবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা কাম্য।

আমরা জন্মসূত্রে মুসলমান। আমাদের পূর্বপুরুষরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী ছিলেন, তাই আমরাও মুসলিম। মহান আল্লাহতায়ালা, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন, যার মধ্যে সঠিক জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে পরিপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর কোরআন মাজিদের ব্যাখা হিসেবে রয়েছে নবী কারিম (সা.)-এর হাদিস। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমরা ইসলামের পথ থেকে সরে এসে হয়েছি বিপথগামী। ইসলাম ধর্মের সঠিক দিক-নির্দেশনাগুলো আজ আমাদের মধ্যে নেই।

বাংলাদেশের শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামের মানুষজন ধর্মের প্রতি বেশি আবেগপ্রবণ। গ্রামগুলোতে ঘুরলে দেখা যাবে পাড়ায় পাড়ায় প্রচুর দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। কিন্তু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় মসজিদগুলো ফাঁকা। আমাদের মনে হয় বুঝি নামাজ শুধু শুক্রবারের জন্যই। কিন্তু শীতের মৌসুমে শুক্রবারেও মসজিদে মুসল্লির উপস্থিতি খুব কম। এতেই পরিষ্কার যে, আমাদের ঈমান কত দুর্বল। অথচ পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ৮২ বার নামাজের কথা বলেছেন। নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ ফরজ ইবাদত। আর আমরা সেই নামাজ বাদ দিয়ে নিজেদের সাচ্চা মুসলমান বলে পরিচয় দিই।

সমাজে একশ্রেণির লোক আছে যারা ধর্মকে শুধু মসজিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রেখেছে। তারা মনে করে, ইসলাম ধর্ম মসজিদ পর্যন্তই। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়েই একে অন্যকে নিয়ে গিবত ও পরচর্চা শুরু করি। কীভাবে অন্যের বারোটা বাজিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা যাবে সেই চিন্তায় মগ্ন হই। ইসলাম এটা কোনোভাবেই সমর্থন করে না।

আধুনিকতার নামে আমাদের সমাজ আজ বেপর্দা, অশ্লীলতায় ভরপুর। বাইরে বের হলেই অস্বাভাবিক পোশাকে চলে অবাধ অশ্লীলতা। এমন চিত্র শহরে প্রকট, ইদানীং গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে। টিকটক, লাইকি, স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক ইত্যাদি অনলাইন বিনোদন সাইটগুলোতে বোরকা-হিজাব পরা মেয়েদের নোংরামিতে ছয়লাব। এগুলো শুধু ধর্মকেই কলঙ্কিত করছে না বরং সমাজেরও অধঃপতন ঘটাচ্ছে।

ফেসবুক খুললেই দেখা যায় ইসলামি চিন্তাবিদদের শিক্ষামূলক ভিডিও থেকে শত শত ক্লিপ বানিয়ে বিভিন্ন আইডি এবং পেজ থেকে আপলোড করা হয়েছে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে সেগুলোর ভিউ (কতসংখ্যক লোক ভিডিওটা দেখেছে) যদি হয় ৫০ হাজার, তাহলে লাইক, কমেন্ট লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর মানে অধিকাংশ লোক ভিডিও না দেখে শুধু রিয়্যাক্ট করে পার হয়ে যায়। কিন্তু উচিত ছিল ভিডিওগুলো দেখে সেখান থেকে নিজের ঠিক ভুল যাচাই করা। আসলে আমাদের জানার আগ্রহ কম, মানার আগ্রহ বেশি। আরেক শ্রেণির ধর্মপ্রচারক আছে দেশে, যারা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে।

বিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে। এটা একদিকে সুখবর, মুসলমানদের জন্য আনন্দের, ঠিক তেমনই যথেষ্ট শঙ্কারও। কারণ কাফের-মুশরিকরা ইসলামের লেবাস পরে মুসলিম সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে মুসলমানদের বিশ্ব ভ্রাতৃত্বকে নষ্ট করার পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট সতর্ক হতে হবে। ধর্মকে নিয়ে উসকানিমূলক কোনো বিষয়গুলো যতটা সম্ভব এরিয়ে চলার পাশাপাশি নিজের বিবেককে জাগ্রত করতে হবে। এ বিষয়ে ইসলামের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

মনে রাখতে হবে ইসলাম গোছানো, পরিচ্ছন্ন শান্তির ধর্ম। সবসময় সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করতে হবে। সঠিক নিয়মে ইবাদত-বন্দেগি করতে হবে। কোরআন মাজিদ অধ্যয়ন করতে হবে, সুন্নত পালন করতে হবে, অন্য ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যমূলক আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবেই বিশ্বে সত্যিকারের ইসলাম প্রতিষ্ঠা পাবে। আমাদের ব্যক্তিজীবনও সুন্দর হবে এবং পরকালে সর্বোৎকৃষ্ট পুরস্কার পাব। তাই আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে ধর্ম পালন করুন।

আল্লাহতায়ালা সবাইকে নেক হয়ে সঠিক পথ বেছে চলার তওফিক দান করুক।

;

পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আয়াত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আয়াত, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক আয়াত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আর আপনি নামাজ কায়েম করুন দিনের দুই প্রান্তভাগে ও রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয় সৎকাজ অসৎকাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটা এক উপদেশ।’ -সুরা হুদ : ১১৪

আয়াতটিকে ‘পবিত্র কোরআনের সবচেয়ে আশাব্যঞ্জক’ বলে উল্লেখ করেছেন অনেক ইসলামি স্কলার। আয়াতে বলা হয়েছে, ভালো কাজগুলোর প্রভাবে পাপ ও মন্দ কাজগুলোর প্রভাব দূর হয়ে যায়।

আশা ও প্রশান্তি হচ্ছে- মানুষের জীবনের প্রাথমিক ভিত্তি। আশা ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকার প্রেরণা পায় না। এখানে মানুষকে আশার বাণী শোনানো হচ্ছে, ‘দিনের দুই প্রান্তে নামাজ ঠিক রাখবে এবং রাতের প্রান্তভাগে। (মনে রাখবে) পুণ্য কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহাস্মারক।’

আয়াতে স্পষ্টভাবে মহান আল্লাহ বলছেন, ‘ভালো কাজগুলো মন্দ কাজগুলোকে তাড়িয়ে দেয় এবং এমনকি পাপের প্রভাব কিংবা কুফলগুলোও দূর করে দেয় এমনভাবে, যেন সে অতীতে কোনো পাপই করেনি। অর্থাৎ ভালো কাজগুলো মন্দ কাজগুলোকে ঢেকে দেয় তথা আগের কাজগুলোকে ঠেকিয়ে দেয়। এভাবে এ আয়াতের সর্বোচ্চ আশাব্যঞ্জকতার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

ইসলামি স্কলারদের মতে, ভালো কাজ মন্দ কাজকে বিলোপ করে ও পাপগুলো ঢেকে দেয়- এমন সুসংবাদ মানুষের মধ্যে ভালো কাজ করার প্রেরণা জাগিয়ে তোলে ও মন্দ কাজ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর সবচেয়ে ভালো কাজ হলো- দিন-রাতের অবশ্য পালনীয় নামাজগুলো, যা এ আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

নামাজ পাপের প্রভাব ধ্বংসের পাশাপাশি প্রশান্তি ও আশার নিয়ামক। আয়াতে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে তাকে ও তার সমস্ত উম্মতকে নামাজ কায়েমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আয়াতে নামাজ দ্বারা উদ্দেশ্য ফরজ নামাজ।

আলোচ্য আয়াতে নামাজ কায়েমের নির্দেশ দানের সঙ্গে সঙ্গে তার উপকারিতার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘পুণ্যকাজ অবশ্যই পাপকে মিটিয়ে দেয়।’ এখানে পুণ্যকাজ বলতে অধিকাংশ আলেমদের নিকট নামাজ বোঝানো হয়েছে। যদিও নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, সদকা ও সদ্ব্যবহারসহ প্রভৃতি যাবতীয় সৎকাজই উদ্দেশ্য হতে পারে। -তাফসিরে কুরতুবি

তবে নিঃসন্দেহে এর মধ্যে নামাজ সৰ্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। অনুরূপভাবে পাপকাজের মধ্যে সগিরা ও কবিরা যাবতীয় গোনাহ শামিল। কিন্তু কোরআন মাজিদের বর্ণনা এবং হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস দ্বারা বুঝা যায় যে, এখানে পাপকাজ দ্বারা সগিরা গোনাহ বুঝানো হয়েছে। এমতাবস্থায় আয়াতের মৰ্ম হচ্ছে, যাবতীয় নেক কাজ, বিশেষ করে নামাজ সগিরা গোনহসমূহ মিটিয়ে দেয়। এ হিসেবে ইমাম কুরতুবি বলেন, আয়াতটি পুণ্যকাজের ব্যাপারে ব্যাপক হলেও গোনাহ ক্ষমা করার ব্যাপারে বিশেষভাবে বিশেষিত। অর্থাৎ সগিরা গোনাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

উল্লেখ, সৎকাজ দ্বারা পাপ ক্ষমা হয়- এ কথা কোরআন-হাদিসের অন্যান্য স্থানেও বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা যদি বড় (কবিরা) গোনাহসমূহ হতে বিরত থাকো, তাহলে তোমাদের ছোট ছোট (সগিরা) গোনাহগুলো মিটিয়ে দেব।’ -সুরা নিসা : ৩১

হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং এক রমজান দ্বারা পরবর্তী রমজান পর্যন্ত মধ্যবর্তী যাবতীয় সগিরা গোনাহ মিটিয়ে দেওয়া হয়, যদি সে ব্যক্তি কবিরা গোনাহ থেকে বিরত থাকে।’ -সহিহ মুসলিম : ২৩৩

অর্থাৎ কবিরা গোনাহ তওবা ছাড়া মাফ হয় না, কিন্তু সগিরা গোনাহ নামাজ, রোজা, দান-সাদকা ইত্যাদি পুণ্যকর্ম করার ফলে আপনা-আপনি মাফ হয়ে যায়।

আলোচ্য আয়াতের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, নেক কাজের ফলে অনেক গোনাহ মাফ হয়ে যায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের থেকে কোনো মন্দ কাজ হলে পরে সঙ্গে সঙ্গে নেক কাজ করো, তাহলে সেটার ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে।’ -জামে তিরমিজি : ১৯৮৭

তবে সৎকাজ দ্বারা শুধুমাত্র সগিরা গোনাহ মাফ হয়। কবিরা গোনাহের জন্য তওবা জরুরি। হাদিসে বলা হয়েছে, যদি সে ব্যক্তি কবিরা গোনাহ থেকে বিরত থাকে। -সহিহ মুসলিম : ২৩৩

;

খুতুবাতে আইয়ূবী

হৃদয়ছোঁয়া একটি বয়ান সংকলন



মুফতি এনায়েতুল্লাহ
খুতুবাতে আইয়ূবীর প্রচ্ছদ, ছবি: সংগৃহীত

খুতুবাতে আইয়ূবীর প্রচ্ছদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বভাবসুলভ হাসিমাখা কথার জাদুতে মন জয় করে নেন উপস্থিত শ্রোতাদের, মুহূর্তেই উজ্জ্বীবিত হয় মাহফিলস্থল। মুমিন হৃদয়ে ঢেউ উথলে উঠে তার হৃদয়ছোঁয়া সুরের মূর্ছনায়। হাজারো জনতা তন্ময় হয়ে হেদায়েতের কথা, আমলের কথা, জীবন পরিবর্তনের কথা শুনেন। দয়াময় আল্লাহতায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো, রাসুলের ভালোবাসা অন্তরে লালন এবং ইসলামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যম বয়ান শোনে পাষাণ হৃদয়ের অনেক শ্রোতা বলে উঠেন, ‘আর নয় সুযোগ নষ্ট- এখন থেকেই ভালো মানুষ, আমলি মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে চাই।’ তিনি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী। দেশের আলোচিত মুফাসসিরে কোরআন। আলেমসমাজ তাকে ভালোবেসে ‘সুলতানুল ওয়ায়েজিন’ বলে ডাকেন। তিনি ‘মাহবুবুল উলামা’ বা ‘আলেমদের প্রিয়জন।’

ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় ১৯৭৯ সালের ৮ ডিসেম্বর তার জন্ম। জামিয়া রাহমানিয়া থেকে ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে দাওয়ায়ে হাদিস সম্পন্ন করেন। এর পর থেকেই দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে বাংলাদেশের সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন। বয়সে তরুণ, কিন্তু সান্নিধ্য পেয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, লেখক, শায়খুল হাদিস ও মুফাসসিরদের। মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, খতিব মাওলানা উবায়দুল হক, শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, মুফতি ফজলুল হক আমিনী, চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ ফজলুল করিম, আল্লামা আহমদ শফী ও মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ গত দুই দশকে তিনি সবশ্রেণির আহলে হক আলেমদের ভালোবাসা, দোয়া ও রাহনুমায়ি পেয়েছেন।

তিনি যেমন খাদেমুস সুন্নাহ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রেখে চলেন দুই যুগ ধরে। তেমনি দেশের অসংখ্য আলেম ও তরুণ ওয়ায়েজ তার সঙ্গে ইসলাহি সম্পর্ক রেখে চলেন।

যেহেতু ওয়াজের মঞ্চ এবং মিম্বরের কথায় রয়েছে বিশাল প্রভাব। বিশেষত সেসব বক্তা, যাদের দিকে মানুষ উৎকর্ণ হয়ে থাকে- তারা কী বলেন, তা শোনার জন্য; মানুষের হৃদয় যাদের কথা শুনে প্রশান্তি লাভ করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার যুগান্তকারী বয়ানগুলো সংকলনের দাবি উঠতে থাকে ভক্তমহল থেকে, অবশেষে তা আলোর মুখ দেখছে। মাওলানা আশিকুর রহমান, মুফতি সালাহুদ্দিন মাসউদ (সম্পাদক, মাসিক কলমদানি) ও মাওলানা শুয়াইব আহমাদ অত্যন্ত যত্ন করে বয়ানগুলো গ্রন্থনা করেছেন। সম্পাদনা করেছেন মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান।

জান্নাতের পথ, তরীকুস সুলূক ও ফয়যানে মুরশিদের লেখক মাওলানা আইয়ূবী ৫ সন্তানের জনক। প্রতিষ্ঠা করেছেন সাভারের আলমনগরে মারকাযুত তারবিয়া বাংলাদেশ নামের ভিন্নধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ইসলামবিষয়ক কলামও তিনি নিয়মিত লিখে থাকেন।

যেহেতু সাধারণ মানুষের ওপর ওয়াজের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এর মাধ্যমে বহু মানুষের আমল-আকিদা দুরস্ত হয়। মানুষ দাওয়াত ও তাবলিগে যাওয়ার উৎসাহ পায়, হক্কানি আলেম ও পীর-বুজুর্গদের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়। ওয়াজের ব্যাপকতার কারণে চরিত্র বিধ্বংসী বিভিন্ন অপসংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। সমাজে চলমান নানাবিধ বিশৃঙ্খলা দূরীকরণে ওয়াজ কার্যকরী ভূমিকা রাখছে, এটা অস্বীকারের সুযোগ নেই। আর মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর মতো জনপ্রিয় একজন ওয়ায়েজের বয়ানের অনুলিপি সমাজ পরিবর্তনে আরও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

মাওলানা আইয়ূবীর অসংখ্য বয়ান থেকে বাছাই করে অতিগুরুত্বপূর্ণ ২১টি বয়ান ছোট শিরোনামে বিস্তারিতভাবে সংকলন করা হয়েছে গ্রন্থটিতে। বিষয়গুলো হলো- মানুষ একটি খনি, পবিত্রতা একটি মূল্যবান হাতিয়ার, মাতাপিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সুন্নতের রঙে রঙিন হওয়া, মুমিনের হৃদয়ে ভালোবাসার হকদার, ইসলামই একমাত্র মনোনীত ধর্ম, আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা ও তার বহিঃপ্রকাশ, আল্লাহর ভয় ও মৃত্যুর স্মরণ, তওবার গুরুত্ব ও উপকারিতা, ঈমানের গুরুত্ব, হালাল উপার্জন এবং হারাম বর্জন, আরশের ছায়াতলে যারা হবেন মেহমান, জীবন হোক ইবাদতে পরিপূর্ণ, আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব, ব্যক্তিজীবনে সুন্নতের গুরুত্ব, বিশ্বে মুসলমানের অধঃপতনের কারণ ও উত্তরণের উপায়, মুহররমের তাৎপর্য ও আশুরার শিক্ষা, নেক সান্নিধ্য গ্রহণের ফজিলত, সময়ের মূল্য, নবী কারিম (সা.)-এর মর্যাদা ও আল্লাহভীতি গোনাহ থেকে বাঁচার একমাত্র মাধ্যম।

৪৮০ পৃষ্ঠার গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে দেশের জনপ্রিয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুল আযহার। মূল্য ৯০০/- (নয় শত টাকা মাত্র)। 

শনিবার (১ জুন ) সকাল ৯টায় খুতুবাতে আইয়ূবীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। সাভারের আলমনগরে অবস্থিত মারকাযুত তারবিয়াহ মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য আলেম-উলামা, লেখক-সম্পাদক, ইসলামি স্কলার ও সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকবেন।

আমাদের প্রত্যাশা, ‘খুতুবাতে আইয়ূবী’ এ দেশের মানুষকে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে ইসলামের পথে চলতে অনুপ্রাণিত করবে যুগ-যুগান্তর।

;