হজযাত্রীদের টাকা নিয়ে পালানো ফয়জুর এজেন্সির মালিক নয়

হজ, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-03-25 15:40:09

‘হজযাত্রীদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে হজ এজেন্সির মালিক ফয়জুর রহমান’ শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ফয়জুর রহমান নামের ওই ব্যক্তি কোনো হজ এজেন্সির মালিক নয় বা হাবের সদস্য নয়। তার সঙ্গে হাবের কোনো সংশ্লিষ্টতা নাই। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাকে হজ এজেন্সির মালিক বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রচার করেছে, যা সঠিক নয়।

সোমবার (২৫ মার্চ) গণমাধ্যমে হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার কর্তৃক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা বরাবরই মধ্যস্বত্বভোগী দালালের কাছে নয়, সরাসরি এজেন্সির কাছে হজের টাকা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘কোনো মধ্যস্বত্বভোগী যেন কম মূল্যে হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা না নিতে পারে সে জন্য সংগঠনের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মধ্যস্বত্বভোগী দালাল ও ফড়িয়াদের কাছে টাকা জমা দিয়েই তারা বিপদে পড়েন। বাড়ির পাশের লোকটির কাছে টাকা জমা দিয়ে তারা মনে করেন নিরাপদে হজযাত্রা করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে পড়েন বিপাকে। এখানেও তাই ঘটেছে।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২১) রাতে দুবাই থেকে দেশে ফেরার পর হজযাত্রীদের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ পালিয়ে যাওয়া ফয়জুর রহমানকে (৪৫) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জে ১৩৭ জন হজযাত্রীর প্রায় ৬ কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেছিল ফয়জুর রহমান। এ ঘটনায় হজযাত্রী জাকির হোসেন ২৫ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান জানান, মামলার পর আদালতের নির্দেশে ফয়জুরের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করা হয়, যদিও সেখানে মাত্র ৭৩ লাখ টাকা সর্বশেষ জমা আছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে তার পাসপোর্ট তল্লাশি করে জানা যায়, ওই দিনই (২৫ ফেব্রুয়ারি) সে বাহরাইন চলে গেছে। সে প্রায় ৬ কোটি টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছে।

ফয়জুর রহমানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার পাটুলী এলাকায়। বাবার নাম আব্দুল কুদ্দুস। ফয়জুর রহমান জিনজিরা গোলজারবাগ মসজিদ মার্কেটের ৩য় তলায় ‘নজরুল এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলার্স’ নামে এজেন্সি খুলে ১০ বছর ধরে লোকজনকে হজে পাঠাতেন। কিন্তু তার এজেন্সি হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সদস্য নয় এবং সে কোনো হজ এজেন্সির মালিকও নয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর