ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থানসহ বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে স্বাগত ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রথম ফ্লাইটের হজযাত্রীদের ফুল, খেজুর, জমজমের পানি ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
গালফ নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, কয়েকটি স্থল বন্দর, নৌ বন্দর এবং দেশটির ছয়টি শহরের প্রধান ছয়টি বিমানবন্দর দিয়ে হজযাত্রীরা সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রী জেদ্দা কিংবা মদিনা বিমান বন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ।
খবরে বলা হয়, এ বছর সৌদি আরবের জেদ্দা, মদিনা, তায়েফ, রিয়াদ, ইয়ানবু, দাম্মামসহ মোট ছয়টি শহরের বিমানবন্দরে হাজিদের বরণ করা হবে। তা হলো- জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, তায়েফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইয়ানবু শহরের প্রিন্স আবদুল মুহসিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাম্মামের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের পবিত্র হজ মৌসুমে সাত হাজার সাত শ ফ্লাইটে ৩৪ লাখ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।
সৌদির বিমানবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাতারাত হল্ডিং কোম্পানি জানিয়েছে, সৌদি আরবের ছয়টি বিমানবন্দরের ১৩টি টার্মিনালে হজযাত্রীদের বরণ করা হবে।
বিমানবন্দরের ২১ হাজার কর্মকর্তা হাজিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেবেন। তা ছাড়া হজযাত্রীদের জন্য সবগুলো বিমানবন্দরে ‘পেসেঞ্জার উইদাউট এ ব্যাগ’ পরিষেবা চালু থাকবে। আর যাত্রীরা নিজ বাসস্থান থেকে ফ্লাইটের সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই লাগেজ পাঠাতে পারবে।
এদিকে সৌদি মালিকানাধীন বিমান সংস্থা সৌদিয়া জানিয়েছে, এবারের হজ মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে যাত্রীদের পরিবহনে ১২ লাখের বেশি আসনের ১৫০টি বিমান বরাদ্দ করা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করবেন।