সৌদি আরবের মক্কায় বিশ্বের দীর্ঘতম হাঁটাপথ ব্যবহার করবেন হজযাত্রীরা। রাস্তাটি আরাফাতের ময়দান থেকে শুরু করে মুজদালিফা হয়ে মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানে শেষ হয়েছে। এই পথের দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটারেরও বেশি। দীর্ঘ এই পায়ে হাঁটা পথ ব্যবহার করে হজের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করবেন হজযাত্রীরা।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পথটিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পায়ে হাঁটার পথ। মক্কার হাঁটার পথটি বেশ কয়েকটি পবিত্র জায়গাকে সংযুক্ত করেছে। যার শুরু আরাফাতের ময়দান থেকে, পরে তা মুজদালিফা হয়ে শেষ হয়েছে মিনায় গিয়ে।
হজ মৌসুমে হজযাত্রীরা দীর্ঘ এ পথ অতিক্রম করেন। অবশ্য এসব এলাকায় গাড়ি চলাচলের জন্য আলাদা রাস্তা এবং ইলেকট্রিক ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। হাঁটাপথকে লাল রঙ দিয়ে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এই পথে কোনো যানবাহন প্রবেশের অনুমতি নেই।
তীব্র গরমের সময় এই পথে হাঁটার সুবিধার্থে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এরই অংশ হিসেবে আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরার পাশে রাস্তার অ্যাসফাল্ট এক প্রকার সাদা উপকরণ দিয়ে ঢাকা হয়েছে। তা প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে সাহায্য করবে।
জানা গেছে, তীব্র তাপ থেকে সুরক্ষায় ইতিমধ্যে মসজিদে নামিরার চারপাশে ২৫ হাজার বর্গমিটারের বেশি এলাকায় এ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হজযাত্রীরা সূর্যের তীব্র তাপ থেকে রক্ষা পাবে এবং ঠাণ্ডা অনুভূতি লাভ করবে।
নিয়ম অনুসারে হজপালনের জন্য মিনা থেকে আমল শুরু করতে হয়। পরে মিনা থেকে আরাফাতের ময়দান হয়ে মুজদালিফায় রাত কাটিয়ে মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ করে নির্দিষ্ট তাঁবুতে অবস্থান কিংবা মক্কায় গিয়ে তওয়াফ করতে হয়। এই পুরো এলাকায় হজযাত্রীদের হাঁটার জন্য আলাদা রাস্তা রয়েছে। ওই রাস্তা প্রখর রোদের সময়েও গরম হয় না এবং ওপর থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে পানি ছিটানো হয়- পরিবেশ ঠান্ডা রাখার জন্য।
গত বছর শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের স্থান জামারাত এলাকায় যাওয়ার পথে এ উপাদানটি ব্যবহার করা হয়েছিল।