হজ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কেউ হজে গিয়ে মারা গেলে পরকালে তার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি অফুরন্ত প্রতিদান লাভ করেন।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের উদ্দেশে নিজ ঘর থেকে মুহাজির হয়ে বেল হলো, অতঃপর মৃত্যু তাকে পেয়ে বসল, তার প্রতিদান আল্লাহর কাছে, আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ -সুরা নিসা : ১০০
উল্লিখিতের আয়াতের ভিত্তিতে বলা যায়, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কেউ কোনো কাজ করতে গিয়ে মারা গেলে আল্লাহ তাকে উত্তম বিনিময় দেবেন।
হাদিসের বর্ণনা অনুসারে, হজ করতে গিয়ে মারা গেলে ওই ব্যক্তি মকবুল হজের সওয়াব পাবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেউ হজ করার উদ্দেশে বের হয়ে মারা গেলে তার জন্য কেয়ামত পর্যন্ত হজের সওয়াব লেখা হয়। আর কেউ উমরা করতে বের হয়ে মারা গেলে তার জন্য কেয়ামত পর্যন্ত উমরার সওয়াব লেখা হয়।’ -তাবারানি : ৫৩২১
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে এক ব্যক্তি আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করছিল। হঠাৎ সে তার বাহন উটনী থেকে পড়ে যায়। এতে তার ঘাড় ভেঙে পড়ে এবং তাতে সে মারা যায়। তখন হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তাকে বরই পাতাসহ পানি দিয়ে গোসল দাও এবং দুই কাপড়ে কাফন দাও। আর সুগন্ধি লাগাবে না এবং তার মাথা ঢাকবে না। কেয়ামতের দিন সে তালবিয়া পড়া অবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।’ -সহিহ বোখারি : ১২৬৫