ফিলিস্তিনের নারী মাইশা হাসান। গাজায় দখলদার ইসরায়েলি হামলায় পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়সহ প্রায় দেড় শতাধিক স্বজন হারিয়েছেন তিনি। শতাধিক স্বজন হারানোর কষ্ট বুকে বয়ে বেড়ানো এই নারী সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে পবিত্র হজ পালন করেছেন।
হজ পালনের সুযোগ পেয়ে তিনি স্বস্তি ও শান্তি পেয়েছেন। স্বজন হারানো ব্যাথা ও কষ্ট আগের থেকে অনেকটাই কষ্ট কমে এসেছে তার। সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে এক হাজার ফিলিস্তিনি এবার হজ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। তাদের অন্যতম হলেন- মাইশা।
মাইশা জানান, তাদের বাড়িতে বোমা ফেলেছিল ইসরায়েল। এ কারণেই এত সংখ্যক স্বজনের প্রাণহানি হয়েছে। বাড়িটিও মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
বর্তমানে মাইশা হাসান গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একজন শরণার্থী। সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন। টেলিভিশনের খবর থেকে তিকি শতাধিক স্বজনের মৃত্যু সম্পর্কে জানতে পারেন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে মাত্র ২৫ জনের দাফন হয়েছে। বাকিরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা যায়নি।
এ বছর পবিত্র হজ পালনের পর স্বজন হারানোর বেদনা কিছুটা কমেছে বলে জানান মাইশা। তিনি নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়েছেন। হজে গিয়ে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার বিচার চেয়েছেন।
মাইশা হাসান তাকে হজে আমন্ত্রণের জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, হজ তার দুঃখ-বেদনার চক্র ভেঙে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি হজ পালন করেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার হলেন গাজার সেসব পরিবারের সদস্য- যারা ইসরায়েলি হামলায় নিহত বা আহত হয়েছেন কিংবা ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি আছেন। তাদের হজের যাবতীয় ব্যয় সৌদি সরকার বহন করছে।