উট সৌদি আরবসহ আরব উপদ্বীপের বিস্তীর্ণ মরুভূমির সংস্কৃতি ও ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিভিন্ন প্রজাতির উট সংরক্ষণে দেশটি নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার (২২ জুন) বিশ্ব উট দিবস উদযাপন করেছে সৌদি আরব।
উট দিবস পালন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় উট দৌড় ও মেলার আয়োজন করা হয়।
এর আগে ২০২৪ সালকে উটের বছর হিসেবে ঘোষণা দেয় দেশটি। আরব উপদ্বীপের মানুষের জীবনযাত্রায় উটের আর্থ-সামাজিক গুরুত্ব তুলে ধরতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। গত বছরের শেষ দিকে দেশটির মন্ত্রীদের কাউন্সিলে তা অনুমোদন পায়। গত ৩ জানুয়ারি সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নতুন বছরের লোগো, উটের ভিজ্যুয়াল ছবিসহ ব্র্যান্ড নির্দেশিকা ম্যানুয়াল প্রকাশ করে।
২০২০ সালে জাতিসংঘ এ বছরকে আন্তর্জাতিক উটের বছর হিসেবে নির্ধারণ করে। বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা, মরুকরণ প্রতিরোধ, ভূমির অবক্ষয় ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি বন্ধ করা, খাদ্য নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সুপারিশে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ উটের বছর উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
সৌদি আরবের সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রিন্স বদর বিন আবদুল্লাহ বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন উদ্যোগ ও আয়োজনের মাধ্যমে ২০২৪ সালকে উটের বছর হিসেবে উদযাপন করা হবে। সৌদি আরবের আত্মপরিচয়ের সঙ্গে উটের গভীর সংযোগ তুলে ধরে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই প্রাণীর গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর তথ্য অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক উট থাকা দেশগুলো হলো পাকিস্তান, আমিরাত ও সৌদি আরব। সৌদি আরবের পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান মতে, দেশটিতে আনুমানিক ১৮ লাখ উট রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৫০ বিলিয়ন রিয়াল। অবশ্য এই পরিসংখ্যানের বাইরেও ছয় থেকে সাত লাখ উট রয়েছে।
বিনোদন, খেলাধুলা, খাবারসহ জীবনযাত্রার সব ক্ষেত্রে এই প্রাণীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতা নির্মাণে উট অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ভূমিকা রাখছে।