উমরা পালনকারীসহ আগতদের চলাচলের সুবিধা ও ইবাদত-বন্দেগির পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে মসজিদে হারামের খোলা প্রাঙ্গণ এবং করিডোরে না ঘুমানোর অনুরোধ জানিয়েছে হারামাইন পরিচালনা পরিষদ।
সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগতদের মসজিদের আদব এবং অন্যান্য পবিত্রতার কথা মাথায় রেখে চলাচলের পথ ও খোলা জায়গায় ঘুমানো এবং শুয়ে থাকা উচিৎ নয়। এটা এড়িয়ে চলা দরকার।
বিশ্বের লাখ লাখ মুসলমান পবিত্র উমরা পালন করতে জড়ো হন মক্কার মসজিদে হারামে। বলতে গেলে প্রায় সময়ই তীব্র ভিড় থাকে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে। ভিন্ন আবহাওয়া, লম্বা সময় ধরে তাওয়াফসহ এক ওয়াক্ত নামাজ শেষে আরেক ওয়াক্ত নামাজের জন্য অপেক্ষা করেন মসজিদে হারামেই। এ সময় অনেকেই ক্লান্ত হয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে এখন থেকে ভিড় এড়াতে মুসল্লিদের মসজিদে শুয়ে না থাকতে এবং না ঘুমানোর নির্দেশনা দিলো হারামাইন পরিচালনা কর্র্তৃপক্ষ।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট এক্সের (টুইটার) একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহর অতিথি হিসেবে আপনারা সবাই মসজিদে শুয়ে থাকা থেকে বিরত থাকবেন। বিশেষ করে বারান্দা, নামাজের স্থান, তাওয়াফের রাস্তা, জরুরি পরিবহনের ট্র্যাক কিংবা শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দকৃত রাস্তায় এ নির্দেশনা মেনে চলবেন।’
এক্স অ্যাকাউন্টে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সতর্কীকরণ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মসজিদে হারাম এবং মসজিদে নববিতে আগত হজ ও উমরা পালনকারীদের ইবাদত-বন্দেগিতে বেশি সময় ব্যয় করা দরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, সবসময় চলাচলের পথগুলো উন্মুক্ত রাখা, অন্যদের কষ্টের বিষয় মাথায় রেখে চলা। রাস্তায় বসে পড়া, শুয়ে থাকা বা ঘুমানো অন্য লোকেদের অসুবিধার কারণ। এর ফলে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়, অনেক মানুষ কষ্ট পান।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের মসজিদে হারামে ধাক্কাধাক্কি ও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে চলাচলের ক্ষেত্রে নারী ও বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুসল্লিদের বিদ্যমান নিয়মনীতি মেনে চলা এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে দেশটির হজ ও উমরাবিষয়ক মন্ত্রণালয়।