বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (২১ আগস্ট) সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক্স ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) যান। এ সময় আহতদের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম।
এ সময় তিনি বলেন, আহতদের অবস্থা আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ। হাসপাতালে হাত, পা, বুকে গুলিবিদ্ধদের কাতর আহাজারিতে চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন। চিকিৎসকরা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে এসে রোগীদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার সার্বিক দায়ভার গ্রহণ করার কথা বলেছেন।
আহত পঙ্গুরা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টির নায়ক। তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু আহতদের সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। এ সময় তিনি সামর্থ্যবানদেরকে আহত-ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহবানও জানান।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, মহান আল্লাহ তার অসীম দয়ায় বাংলাদেশের মানুষকে জালিমের জুলুম থেকে মুক্ত করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদেরকে মহান আল্লাহ যেন শহীদ হিসেবে কবুল করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে যেন আল্লাহ সুস্থ করে দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যারা করেছেন তাদের সবাইকে মহান আল্লাহ যেন দুনিয়া ও আখেরাতে সম্মানিত করেন। তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে যেন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইনসাফভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালিত হয়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেদ মাহমুদ, সহ-সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রমুখ।