বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বাংলাদেশের ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা। এতে এ অঞ্চলের জনসাধারণ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হারিয়েছেন সহায়-সম্পদ। এমন দুর্যোগে বরাবরের মতো দাতব্য সংস্থা আল-মারকাজুল ইসলামী (এএমআই) শুরু থেকে উদ্ধার তৎপরতাসহ জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। সংস্থাটির ত্রাণ তৎপরতায় সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।
১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আল-মারকাজুল ইসলামী। গত ৩৬ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি মানবসেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সেবায় কাজ করছেন আল-মারকাজুল ইসলামী। বিতরণ করছেন জরুরী ত্রাণসামগ্রী।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান হামজা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ ধেয়ে আসা এই বন্যা মানুষের স্বাভাবিক জীবন চলার পথকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। ফলে ব্যাপকহারে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অবস্থাসম্পন্ন অনেক পরিবার বিপদে আছেন। পানির স্রোতে ভেসে গেছে বাড়ি-ঘরসহ অন্যান্য সম্পত্তি। তাই দুর্যোগময় অবস্থায় বরাবরের মতো মানুষের পাশে আছে আল-মারকাজুল ইসলামী। আমরা বন্যার শুরুতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছি। এখন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কাজ করছি বিরতিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমরা একসঙ্গে একাধিক প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কাজ করছি। বিশেষত ত্রাণ বিতরণ, রেসকিউ, মৃতদেহ উদ্ধার ও কাফন, স্বাস্থ্যসেবায় ফ্রি মেডিক্যাল টিম ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবা। ইতোমধ্যে ৫ হাজার পরিবারের মাঝে প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার, ২ হাজার পরিবারে ভারী ফুড আইটেম বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ১ হাজার পরিবারের মাঝে ভারী ফুড আইটেম বিতরণ চলমান রয়েছে।’
মারকাজ চেয়ারম্যান জানান, ‘আমাদের টিম বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প করছে। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে বিজ্ঞ ডাক্তাররা চিকিৎসা পরামর্শ দিচ্ছেন, সেই সঙ্গে জরুরি ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, আল-মারকাজুল ইসলামী ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন নিয়েও পরিকল্পনা করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় জনসাধারণ স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোর অভাবে পরে, এর অন্যতম হলো- বিশুদ্ধ খাবার পানি।
আল-মারকাজুল ইসলামীর নিজস্ব লেভেলযুক্ত ৫ লিটারের ৬ হাজার বোতল পানিসহ মোট ১০ হাজার পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া পানি চলে যাওয়ার পর মারকাজ স্থায়ীভাবে ডিপ-ননডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করে জনসাধারণকে বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করে দেবে- ইনশাআল্লাহ।