পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত কমিটি বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে আলেমসমাজ ও ইসলামপন্থী জনগণের নামে বিষোদগার করা হয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১৫১ জন আলেম।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়- ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিল এ দেশের সর্বস্তরের জনতা। কারণ, বিগত সরকার পাঠ্যপুস্তককে আমাদের সন্তানদের ঈমান হরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। আমরা আশা করেছিলাম, পতিত স্বৈরাচারের সময়ে এনজিও প্রেসক্রিপশনে রচিত পাঠ্যপুস্তকের পাতায় পাতায় পশ্চিমা অপসংস্কৃতির যেই নগ্ন অনুপ্রবেশ ঘটেছিল, তা থেকে আমরা এবার পুরোপুরি মুক্ত হতে পারব। কিন্তু গভীর হতাশার সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, নতুন বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় কমিটিতেও পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারক-বাহকেরা জেঁকে বসেছে। সমন্বয় কমিটিতে বাম, সেক্যুলার, ইসলামবিদ্বেষী ও সমকামী সাপোর্টাররা থাকলেও ছিল না দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বাস্তবতায় আমরা ইসলামপন্থী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নানা ধরনের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করি এবং কমিটি থেকে চিহ্নিত ইসলামবিদ্বেষী ও যৌন বিকৃতির সাপোর্টারদের অপসারণের দাবি জানাই। তারপর আমরা দেখতে পেলাম, খু্ব তড়িঘড়ি করে পুরো কমিটি বাতিল করা হলো, যা আমাদের দাবি ছিলো না। বরং কমিটি গঠন ও বাতিলের পুরো প্রক্রিয়াটাই সন্দেহজনক।’
‘এরপর আমরা গভীর বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আলেমসমাজ ও ইসলামপন্থীদেরকে ‘মৌলবাদী ও স্বার্থান্বেষী মহল’ ট্যাগ দিলেন। এছাড়া জনবচ্ছিন্ন কিছু বাম ও ইসলামবিদ্বেষী সেকুলার ‘১২২ নাগরিকের বিবৃতি’র নামে মিথ্যার বেসাতি সাজালেন। আমাদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কারণে তারা আলেম সমাজ ও ইসলামপন্থী জনতাকে ফ্যাসিবাদের দোসর ট্যাগ দিলেন এবং ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ করার পায়তারা’ বলে অভিহিত করলেন।’
বিবৃতিতে আলেমরা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে এভাবে ট্যাগিং করা নিঃসন্দেহে ফ্যাসিবাদী আচরণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা দেখেছি, এই বাম ও চেতনাপন্থীরাই পতিত স্বৈরাচারের হাতকে শক্তিশালী করেছিল এবং বিভাজনের রাজনীতি করে ইসলামপন্থীদের কোণঠাসা করে রেখেছিল বিগত ১৫ বছর। আবু সাইদ ও আসহাবুল ইয়ামিনরা ইসলামের আদর্শ ও শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যে নতুন বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিয়েছে, সেই বাংলাদেশকে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এই জনবিচ্ছিন্ন ১২২ নাগরিক। তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার নামে নিজেদের অসৎ আকাঙ্ক্ষাকে ইসলামপন্থী জনগণের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। প্রকৃত সত্য এটাই যে, বাংলাদেশের মানুষ পাঠ্যপুস্তকে পশ্চিমা সংস্কৃতি চায় না, ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কনটেন্ট চায় না।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, ইসলামিক স্কলারদের একটা টিম কর্তৃক পাঠ্যপুস্তকগুলো রিভিউ করা অত্যন্ত জরুরি। এই টিম পাঠ্যপুস্তকে কোনো ইসলামবিদ্বেষী কনটেন্ট থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করে বাদ দেবার সুপারিশ করবেন৷ এই রিভিউ ছাড়া যদি বই বাজারে আসে আর সেখানে ট্রান্সজেন্ডারসহ পশ্চিমা অপসংস্কৃতি ও ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক কনটেন্ট থাকে তবে তীব্র জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে।’
‘আমরা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। আমরা চাইব সরকার কিছু জনবিচ্ছিন্ন বাম ও ইসলামবিদ্বেষীর কথায় প্রভাবিত না হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিকে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবেন।’
বিবৃতিদাতারা হলেন- সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতি মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, ড. খলীলুর রহমান আল মাদানি, শায়খ আহমাদুল্লাহ, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুকদার, মাওলানা খুবাইব বিন তায়্যিব (জিরি), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়্যুবী, ড. মানজুরে এলাহী, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ, প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর মুখতার আহমেদ, হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারি, শায়খ হারুন আজিজী নদভি, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক কুয়াকাটা, মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী), ড. ইউসুফ সুলতান, শায়েখ মুরতাজা হাসান ফয়জী মাসুম, ড. মো. রফিকুল ইসলাম আল মাদানি, ড. রশিদ আহমদ, মাওলানা ফখরুদ্দীন আহমাদ, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-আমিন, মুফতি আমির হামজা, শায়খ কামরুল ইসলাম সাইদ আল আনসারি, শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, মুফতি মনোয়ার হোসেন, শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, সৈয়দ হাসান আল আযহারী, মাওলানা রাফী বিন মুনির, শায়খ জামাল উদ্দীন, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকি, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, শায়খ সাদিকুর রহমান আল-আযহারী, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, মাওলানা মীযান হারুন, মুফতি রেজাউল করিম আবরার, প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক কাসেমী, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ড. আবুল কালাম আজাদ মাদানি, ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারি, মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি নোমান কাসেমী, শায়খ মোল্লা নাজিমুদ্দীন, মুফতি জিয়াউর রহমান, আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান।
মুফতি হেদায়েত উল্লাহ খান আজাদি, মাওলানা গাজি ইয়াকুব, মুফতি সাঈদ আহমাদ, মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ, মাওলানা আফীফ ফুরকান, মাওলানা আ.ন.ম. আকরাম হোসাইন, মাওলানা সিফাত হাসান, মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেমী, মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী, মুফতি আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব, মুহাম্মাদ নূরুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানী, মুফতি আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মাওলানা আমিন ইকবাল, মাওলানা ইমরান রাইহান, মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, মাওলানা নাজমুল হাসান, শায়খ ইউসুফ ওবায়দী, উস্তাদ আহমদ রফিক, মাওলানা হাছিব আর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা আসআদ বিন সিরাজ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার, হাফেজ মাওলানা মুফতি আবু মুহাম্মদ রহমানী, মাওলানা আব্দুল কাহহার, শায়খ ড. আব্দুস সালাম আজাদী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা মুফতি আফিফ ফুরকান, মুফতি ড. খলীলুর রহমান, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ, মাওলানা মাকসুদ আল-আজমী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম, মুফতি আম্মার বিন নূর, মাওলানা মির্জা আরাফাত, শাইখ সালাহউদ্দীন মাক্কী, মাওলানা উমায়ের বিন রশিদ, মাওলানা আবদুস সালাম যুক্তিবাদী, মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা নুরুল কারীম আকরাম, মাওলানা গোলাম রব্বানী, মাওলানা মুস্তাফা, শায়খ জারির ইবনে আব্দুল্লাহ জাফরী, মুফতি নুরুন্নবী, মুফতি মাহমুদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মুফতি তানভীর আহমদ, মুফতি আল আমিন, মুফতি সুলাইমান খান, মুফতি সালমান শেখ, হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা নজির হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহমদ।
মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি রফিকুল ইসলাম, মুফতি আবুল হাসান, মাওলানা ইমদাদুল হক, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতি ফাহিম আহমাদ, মাওলানা হাসান বনিক, মুফতি যোবায়ের হাসান, মাওলানা আল আমিন রংপুরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, মুফতি মুহাম্মদ আলী যশোরী, মুফতি শরীফুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম আদিল, মুফতি দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা আব্দুর রহমান কোব্বাদি, মুফতি মোহাম্মাদউল্লাহ, মুফতি ইমামুদ্দিন, মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমি, মুফতি জুবায়েব আবদুল্লাহ কাসেমি ও মাওলানা শাহজাহান আল হাবিবি।