ফিলিপাইনের দ্য ন্যাশনাল মুসলিম কমিশন ঘোষণা করেছে, দেশটির সরকার বিশেষ শর্তের আওতায় ২০০ হজ পালনকারীকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
কমিশনের গণসংযোগ বিভাগের প্রধান বলেছেন, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গতবছর ঈদুল ফিতরের সময় এ ঘোষণা দিয়েছেন।
সাহায্য কেবলমাত্র আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলরা পাবেন। এ বিষয়ে কমিশনের প্রধান বলেন, এ সহযোগিতা গ্রহণের জন্য সাহায্যপ্রার্থীর আর্থিক সংকট থাকার বিষয়টি প্রমাণপত্র দিতে হবে। আর এই প্রমাণপত্র সত্যায়ন করবে মিনিস্ট্রি অব ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার।
শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে, সাহায্য গ্রহণকারী হজযাত্রীর বয়স কমপক্ষে ৫০ হতে হবে, তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি বৈধ পাসপোর্টধারী হতে হবে এবং শুধুমাত্র প্রথমবার হজ পালনকারীরা এ সুবিধা পাবেন।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে, লটারির মাধ্যমে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। রাজধানীর নাম ম্যানিলা। ৭ হাজার ১০৭টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটির আয়তন হচ্ছে- ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৬৪ বর্গকিলোমিটার।
ফিলিপাইনের জনসংখ্যা ১০ কোটির ওপরে। ফিলিপাইনের দ্য ন্যাশনাল মুসলিম অব কমিশনের হিসাবমতে, বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যার হার প্রায় ১৪ ভাগ। ফিলিপাইনে অনেক ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। শেখ করিম আল মাখদুম মসজিদটি ফিলিপাইনের প্রথম মসজিদ।
ফিলিপাইনের আরেকটি বিখ্যাত মসজিদের নাম- পিঙ্ক মসজিদ। মসজিদটিকে শান্তি এবং ভালোবাসার রঙে সাজানো হয়েছে। কয়েক বছর ধরে ফিলিপাইনে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি দেওয়া হয়। দেশটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের হালাল খাবারের দোকান। মুসলমানরা তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখে রমজানও পালন করতে পারেন। তারাবির নামাজে খতমে কোরআনের ব্যবস্থা হয় অনেক মসজিদে।