দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিশ্ব থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করলেও দিন দিন স্বাধীনাতার দাবি আরও উচ্চকিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২২ মে) পালিত হবে বিশ্ব কুদস দিবস।
প্রায় ৭০ বছর ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবর-দখল করে বর্বর নির্যাতনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। তা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের মজলুম জনগোষ্ঠীকে সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে মুসলিম দেশগুলো।
কুদস দিবস পালন করা হয়, ফিলিস্তিনিদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে জাগ্রত রাখা এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি বিশ্ব মুসলমানের ঘৃণা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। কুদস দিবস কেবল ফিলিস্তিনিদের দিবস নয়, এটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিবস। ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করা সব মুসলমানের দায়িত্ব। এ দায়িত্বের প্রতি সংহতি প্রকাশের দিন এটি।
বিশ্ব কুদস দিবস পালনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন বজায় রাখা, পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং এ অঞ্চলে আমেরিকা ও ইসরাইলের আধিপত্যের অবসান ঘটানো। বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা শরণার্থীদেরকে মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে আনা, বায়তুল মোকাদ্দসকে রাজধানী করে এবং মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের নিয়ে মূল ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন সরকার গঠনের ব্যবস্থা করা। এটা ছাড়া পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি আসবে না।
এবার কুদস দিবসে বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের অভাবনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি বছর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি-বিধান পালন করার কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে কুদস দিবসের বিক্ষোভ মিছিল করা সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় লন্ডনের ইসলামি মানবাধিকার পরিষদের উদ্যোগে ব্রিটেনের মুসলমানরা এই অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন।
তার ফিলিস্তিনি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।
লন্ডন ইসলামি মানবাধিকার পরিষদ বলেছে, রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলন এবং এ সংক্রান্ত ছবি যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।