বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের কোনও সাফাই সাক্ষ্য হয়নি।
রোববার (২৭ জুন) মামলাটিতে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ঢাকার ১ম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে হাজির করা হয়নি। কোন সাক্ষীও এদিন আদালতে হাজির করেনি আসামিপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান সোমবার (২৮ জুন) মামলাটি সাফাই সাক্ষী আনার নির্দেশ দেন। সোমবার আগে থেকেই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর আসামিরা সাফাই সাক্ষী দিতে চাইলে মামলাটি সাফাই সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ডিবি পুলিশ।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
এজাহারে থাকা আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুল ইসলাম, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এএসএম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম।
এজাহারবহির্ভূত ৬ আসামি হলেন ইশতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, এসএম মাহমুদ সেতু ও মোস্তবা রাফিদ।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ করা হয়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে হত্যা করেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।