গ্রেফতারের পর কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন কোনও প্রমাণ পায়নি পুলিশের তদন্ত সংস্থা পিবিআই। আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে সংস্থাটি। এর বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত বাদীর আবেদন গ্রহণ করেন। আবেদনের ওপর আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কিশোরের নির্যাতনের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পায়নি বলে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে, বিষয়টি গণমাধ্যম জানতে পারে ১৭ নভেম্বর।
তদন্ত কর্মকর্তা-পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার প্রতিবেদনে বলেছেন, সাদা পোশাকে অজ্ঞাতনামা ১৬-১৭ জনের বিরুদ্ধে আনা শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি।
গত ২০ মার্চ কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শরীরে (কান, পা ও শরীরে) আঘাতের চিহ্ন পায়নি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
গত ২০ মার্চ ঢামেকের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমী, অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুল আমিন খান ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. হাফিজ সর্দার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনে কিশোরের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তারা।
গত ১০ মার্চ কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজ্ঞাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। কান, পা ও শরীরের যেখানে আঘাত পেয়েছেন বলে কিশোর যে অভিযোগ করেছেন, সেগুলো পরীক্ষা করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ।