বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের (মিনু) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদনের একদিন পর তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুলাই) ঢাকা সাইবার ট্রাইবুন্যালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়েত এ মামলা ‘আমলে’ নেওয়ার মতো আইনি ভিত্তি নেই বলে তা খারিজের আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
আদেশে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী’ এই মামলায় অভিযোগকারী হিসেবে দাঁড়াননি, বা তার কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা আত্মীয়ও ছিলেন না। আরও বলা হয়, এর পরিবর্তে মামলাটি ‘ভুক্তভোগী’র দূরের সম্পর্কে একজন দায়ের করেছিলেন। তার এই মামলা দায়েরের এখতিয়ার নেই।
বিচারক তার আদেশে বলেন, যে ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন তিনি মিজানুর রহমান মিনুর এই মন্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে আঘাত পাননি। তাই মামলাটি বাতিল করা হলো।
এর আগে, রোববার (২৩ জুলাই) রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের (মিনু) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এনামুল হকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এনা গ্রুপের কর্মকর্তা পারভেজ হোসেন। বিএনপি নেতা মিনুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ও ২৯ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই রাত ১টায় ও পরদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে প্রচারিত একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এনামুল সাহেব বাগমারার। জীবনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ কিছুই করতে দেখিনি। বরং বগুড়ায় যখন পড়াশোনা করতো তখন শিবিরের প্রেসিডেন্ট ছিল।
মিনুর এমন মন্তব্যের কারণে বাগমারা আওয়ামী লীগ সভাপতি এমপি এনামুল হকের মানহানি ও সমাজে মর্যাদাহানি হয়েছে। অবশ্য একই অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মনসুর রহমান ও রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম সম্পর্কেও মন্তব্য করেন।