সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৬ হাজার ৯৩৮ জনকে আইন সহায়তা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেওয়া মামলার সংখ্যা ৩,০৪৮টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ২,২১৫টি। এসব মামলায় উপকারভোগী ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৯০ জন।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে সরকারি খরচায় ২০০৯ সাল থেকে নভেম্বর-২০২৩ পর্যন্ত আইনি সেবার তথ্য সংস্থাটি প্রকাশ করেছে।
দেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করা হয়। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
দেশের সকল আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ’লিগ্যাল এইড’এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সুপ্রিমকোর্ট, শ্রম আদালতসত বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়।
সুপ্রিমকোর্টে ২০১৫ সালে লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার বর্তমানে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।