সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনার সময় মারামারির মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ। যুথী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন। একই মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা)ও জামিন আবেদন করেছিলেন।
গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আগাম জামিন আবেদন করেন নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও আসামি অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন ও ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা)।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী ও বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জন আইনজীবীকে আসামি করে শাহবাগ থানায় এ মামলা করা হয়।
৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে নিজ চেম্বার থেকে কাজলকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সেই থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ১ নম্বর আসামির নির্দেশে এবং প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট বার সমিতির নিচ তলার শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের দরজা খুলে অস্ত্র হাতে জোর করে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় বাদীসহ নির্বাচন সাব-কমিটির অন্যান্য সদস্যদের গালিগালাজ করেন। ৫ নম্বর আসামির হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করা হলে বাদী বাধা দিতে গিয়ে আহত হন। অন্যান্য আসামিরা কাঠের লাঠি, কাঠের ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে অতর্কিতভাবে মারপিট করে ও পা দিয়ে আঘাত করে বাদীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তার পরিহিত কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার পুরোটাই ধারণ করা আছে। অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণার কাজ আসামিরা সম্পন্ন হতে না দিয়ে ১ নম্বর আসামিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করার অবৈধ দাবিতে তার নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়।