কলাপাড়ায় মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান

, আইন-আদালত

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) | 2024-08-12 18:34:30

দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (১২ আগস্ট) পটুয়াখালীর কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারায় তাকে খালাসের আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২০১৫ সালে কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. হাবিবুল্লাহ রানা বাদী হয়ে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার এ মানহানি মামলা (সিআর-২/২০১৫) দায়ের করেন। এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন রায় এর আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের আদেশ না দিয়ে সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষে মামলার নিযুক্তীয় কৌশুলী ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন তালুকদার।

মামলায় বলা হয়, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ইস্ট লন্ডনের অষ্ট্রিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতিহাস বিকৃত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার, লালসালু, পাকবন্ধু ও পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭২ সনের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসেন বলে ধৃষ্টতাপূর্ণ জঘন্য মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারবর্গের কোনই অবদান নেই, শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের জন্য লালসালু, এ লালসালুকে ঘিরে থাকে ভক্তরা। দখলদার ও রং হেডেড শেখ হাসিনা যখনই বিপদে পড়েন, তখনই জনগণকে ধোঁকা দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দেন। তার পরিবারই রাজাকারের বংশ বিস্তার করছে, রাজাকারেরা তার মন্ত্রীসভায়ও রয়েছে বলে তারেক রহমান তার ওই বক্তব্যে বলেন বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারবর্গকে নিয়ে তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশ, জাতি তথা বাংলাদেশের সুনাম, সুখ্যাতি সহ বর্হিবিশ্বে সাবেক রাষ্ট্রপতি সহ বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সকলের মান সন্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, এতে ২০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে বাদী তার মামলায় উল্লেখ করেন।

এদিকে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এ মামলাটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা। মামলার বাদী দীর্ঘ ৯ বছরে আদালতে অনুপস্থিত ও নিযুক্তীয় কৌশুলীর কোনো ধরনের তদ্বির ছাড়াই মামলাটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদালতকে ব্যবহার করে গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রেখেছিল।

এ সম্পর্কিত আরও খবর