রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে ফওজিয়া রেজওয়ানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।
আবেদনে অধ্যক্ষ পদে তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন দ্বৈত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সম্পুরক আবেদনটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। ২০০৯ সালে ভিকারুননিসা নিয়ে করা রিটে এ সম্পুরক আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের শিক্ষক সার্ভিস রেগুলেশন অনুসারে অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা পরিচালনা পর্ষদের ওপর ন্যস্ত। ২০০৯ সালের রেগুলেশন অনুসারে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারবে পরিচালনা পর্ষদ। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সরকার অবৈধভাবে তাকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছে।
আগেরদিন রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদে সবুজবাগ সরকারী মহাবিদ্যালয়ের ফওজিয়া রেজওয়ানকে নিয়োগ দেয় সরকার। ওইদিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারেরএই কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিজ বেতন ও বেতনক্রমে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে প্রেষণে পদায়ন করা হলো।
তার পদায়নের শর্তে বলা হয়েছে, তিনি নিজ বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা গ্রহণ করবেন এবং তিনি পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
শর্তে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানকর্তৃক বিনা ভাড়ায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করলে তিনি কোনো বাড়ি ভাড়ার ভাতা পাবেন না।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে আসছিলেন সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম। দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। ফলে ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য ছিল নামি ও ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ভিকারুননিসা। এতে নিয়োগ প্রত্যাশী ১৬ প্রার্থীর আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছয়জন ও বাইরে থেকে ১০ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞার কারণে আর অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারেনি ভিকারুননিসা। এসব ঘটনার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলো।