রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে আট আসামির মধ্যে সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। তবে এসময় প্রত্যেকের ভাবভঙ্গি ছিল স্বাভাবিক, মুখে ছিল হাসি।
রায় শোনার পর কেউ কেউ চিৎকার চেঁচামেচি করেন। রায় মানি না বলে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নেওয়া সময় জঙ্গিদের মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর লোগো সম্বলিত কালো টুপি দেখা যায়।
এ সময় জঙ্গিরা চিৎকার করে নিজেদের আইএসের লোক বলে দাবি করেন। তারা বলেন, তারা আইএসের লোক। দেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতেই তারা এ যুদ্ধে নেমেছে।
কারাগারে থাকা জঙ্গিদের কাছে আইএসের লোগো সম্বলিত টুপি আসল কিভাবে এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আইএসের প্রতীকী টুপির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এই জবাব কী আমি দিতে পারি? সেটা তদন্ত করা হবে। তবে এই বিষয়ে জবাব দেয়া সম্ভব না। আমি মনে করি এটি তদন্ত হওয়া উচিত। আমি প্রেস কনফারেন্স শেষ করেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
এদিকে আদালতে আনার সময় জঙ্গিদের মাথায় এই টুপি ছিল না। রায় ঘোষণা শেষে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মাথায় আইএসের টুপি পরে জঙ্গিরা।
জঙ্গি রাকিবুল হাসান ও রাজীব গান্ধী এর মাথায় আইএসের টুপি এলো কিভাবে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল আবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, কারাগারে ছিল জঙ্গিরা। দুই জঙ্গির মাথায় আইএসের টুপি পরা দেখলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। কারাগারে তারা এই টুপি পেল কোথায়? টুপি পরা অপরাধ না। তবে আইএসের লোগো সমৃদ্ধ টুপি পেল কিভাবে সেটাই কথা।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবর রহমান হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ঘোষণা করেন। ৭ জনের ফাঁসি ও একজনকে খালাস দেন আদালত।