হাইকোর্টের সামনে গাড়ি ভাংচুর ও পুলিশের কাজে বাধার মামলায় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ পাঁচ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো বাকি চার আসামি হলেন- অ্যাডভোকেট আলমগীর, অ্যাডভোকেট তৌহিদ, ফিরোজ কিবরিয়া ও রিয়াজ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন আসামি মোস্তাফিজুর রহমানের সাতদিন রিমান্ড আবেদন এবং অপর পাঁচ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।
পাঁচ আসামির জামিনের আবেদন করা হলে তা রোববার (১ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
এর আগে, দুপুরে হাইকোর্ট এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৬ নভেম্বর ১২টার সময় পাঁচ শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাতে ব্যানার ইট-পাটকেল, লাঠিসোটা,লোহার রডসহ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, অবৈধ সরকারের পতন চাই’ সহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এসময় তারা জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর জখম হয়। এসময় তারা ২০/২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে।