আবহাওয়ার পরিবর্তনে চশমা ঘোলা হয়ে যাওয়ায় কিংবা বৃষ্টিতে চশমা ঝাপসা হয়ে যাওয়ায় বেশ সমস্যাও পোহাতে হয়।
তবে সবচাইতে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, নিত্য ব্যবহৃত চশমার গ্লাসে স্ক্র্যাচ বা দাগ পড়লে। বাইরের ধুলাবালি ও ময়লা খুব সহজেই চশমার গ্লাসে আটকে যায়। যা দৃষ্টিশক্তিকে বাধাগ্রস্থ করে। ধুলাবালি সরাতে সাধারণ কাপড় দিয়ে চশমার গ্লাস পরিষ্কার করার ফলে সুক্ষ্ম স্ক্র্যাচ পড়ে যায় চশমার গ্লাসে। এই সকল স্ক্র্যাচের ফলে চশমা ব্যবহার করা দারুন কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে।
যে কারণে সঠিক নিয়মে চশমার গ্লাস পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এতে করে চশমা লম্বা সময়ের জন্য পরিষ্কার থাকবে এবং গ্লাসে কোন ধরণের স্ক্র্যাচ পড়বে না।
আরো পড়ুন: জিমে নতুন? জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য
পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত চশমা পাবার জন্য তিনটি সহজ ধাপ মেনে কাজ করতে হবে।
প্রথম ধাপ: সাধারণ কলের পানি দিয়েই চশমার গ্লাস পরিষ্কার করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে কুসুম গরম পানি। সঙ্গে নিতে হবে খুবই হালকা ধাঁচের (মাইল্ড) ডিশ ওয়াশার লিকুইড সোপ। কয়েক ফোঁটা ডিশ ওয়াশার ও কুসুম গরম পানির সাহায্যে চশমার গ্লাস ধীরে ধীরে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: চশমার পানি শোষণের জন্য নিশ্চয় গামছার খসখসে কাপড় কিংবা পরিধানকৃত কোন কাপড় ব্যবহারের কথা ভাবছেন? তবে এই সকল কাপড় ব্যবহারের কথা একেবারেই ভুলে যান। এই কাপড়গুলো যতই মোলায়েম মনে হোক না কেন, চশমার গ্লাসে সহজেই দাগ ফেলে দেয়। যে কারণে সবসময় চশমার বাক্সের সাথে দেওয়া বিশেষ মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এই কাপড় চশমার গ্লাস সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়।
তৃতীয় ধাপ: চশমার গ্লাস পরিষ্কার করা হলেও, চশমা কি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে? প্রতিনিয়ত যে বস্তুটি ব্যবহার করা হচ্ছে ও ত্বকের সংস্পর্শে আসছে, সেটার বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যে কারণে ইয়ার ও নোজ পিসে তুলার সাহায্যে জীবাণুনাশক প্রতিষেধক ব্যবহার করতে হবে। এরপর প্রয়োজনে তুলা সাধারণ পানিতে ভিজিয়ে মুছে নিতে হবে।
অল্প সময়ের মাঝে চশমা ও চশমার গ্লাস এইভাবে পরিষ্কার করে নিলে বেশ দীর্ঘসময় চশমার গ্লাস থাকবে পরিষ্কার এবং চশমাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন স্ক্র্যাচ পড়বে না।