দৃষ্টির মাধ্যমে জেনে নিন নিজের ব্যক্তিত্ব
মানুষের মস্তিষ্ক অত্যন্ত সূক্ষ্ম এবং জটিলভাবে সজ্জিত। তবে মস্তিষ্কের থেকেও জটিল মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য। মানুষের মন এত বেশি জটিল হয় যে, অনেক সময় বাহ্যিক ভাবে বোঝা তো দূরে থাক, অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য ছাড়া রোগ থাকার লক্ষণও ধরা যায় না।
মানুষের ব্যক্তিত্বের উপর তার স্বাস্থ্যের অনেক কিছুই নির্ভর করে, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্যের। ব্যক্তিবিশেষ নানা ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখা যায়। আমাদের ব্যক্তিত্বের পার্থক্যের কারণেই একজন মানুষের থেকে অন্যজন এত বেশি আলাদা। অনেকে তো নিজের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নিজেই অবগত থাকেনা। তবে খুব সহজে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন আসলে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন?
‘অপটিক্যাল ইলিউশন পার্সোনালিটি টেস্ট’ নামক পদ্ধতি খুব প্রাথমিক ভাবে আপনার ব্যক্তিত্বের একটি ধারণা দিতে পারে। এই পরীক্ষায় ব্যবহৃত হয় স্থির ছবি, যার মধ্যে এক বা একাধিক উপাদান প্রতীকীরূপে থাকে। মনোবিজ্ঞান-ভিত্তিক এই পরীক্ষা মানুষের চোখে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ধরা পড়ে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যক্তিত্ব ধারণা করা হয়।
‘দ্য মাইন্ডস জার্নাল’ দ্বারা প্রকাশিত এই ছবিটি তেমন পরীক্ষার জন্য নির্মিত। ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় ছবির একটি অংশে একটি কালো কাক দাঁড়িয়ে আছে, অন্যদিকে পাথরের সুসজ্জিত বিন্যাস একজন মানুষের মুখের অবয়ব তৈরি করেছে। প্রথমে ছবির কোন অংশটি নজরে পড়ছে তার উপর ভিত্তি করে ব্যকি্তত্ব ধারণা করা হয়।
১. যদি আগে কাক দেখতে পান:
এই ব্যক্তিত্ব পরীক্ষায় যদি প্রথম কাক দেখতে পান তাহলে তা বোঝায় যে আপনি অন্যদের ক্ষেত্রে খুব বেশি বিচারপ্রবণ বা স্ব-সমালোচকও বটে!তাহলে এর মানে হল যে আপনি জীবনে বেশ স্বজ্ঞাত এবং পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করেন। অন্যদের আপনি খুব বিচার-বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন। আপনি মানুষের আচরণ গভীরভাবে বুঝতে পারে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার ধারণা সঠিক হয়। আপনি বেশ সন্দেহবাতিক, যা আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
২. যদি আগে পাথরের তৈরি মুখ দেখতে পান:
প্রথমে পাথরের সম্মেলনে মুখের অবয়ব দেখে থাকলে এর মানে হলো, আপনি নিজের সমালোচনা বেশি করেন। যদিও এই স্বভাব আপনাকে জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। তবে হিতে বিপরীত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়ে যায়। নিজেকে বার বার বিচার করার অভ্যাসের কারণে আপনার নিরাপত্তাহীনতার জায়গাগুলো সহজে ধরা পড়ে এবং শুধরে নেওয়া সহজ হয়। যদিও আপনার সাফলে্য বাঁধাও আসতে পারে এই স্বভাবের কারণে।
উপদেশ: যারা প্রথম ধরনের মানুষ, তারা মানুষ চিনতে তীক্ষ্ণ দৃষি্টসম্পন্ন হলেও অনেক সময় অন্যের কষে্টর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অন্যের প্রতি কিছুটা সহানুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করুন। সবসময় অতিরিক্ত জাজমেন্টাল এবং সন্দেহপ্রবণ আচরণ প্রকাশ না করাই শ্রেয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ধরনের মানুষ প্রায়ই নিজেকে অনেক বেশি চাপ দিয়ে ফেলেন। নিজের প্রতি আরও বেশি কোমল হতে হবে, নয়তো জীবনে উন্নতির পথে বাঁধা আসবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া