মহামারী ঠেকাতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে শিখেছে বাড়ির খুদে সদস্যরাও। যেকোনও জিনিস স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া মানেই যে সুস্থ থাকা সেটা ওরাও বুঝতে শিখেছে। তবে, করোনা সংক্রমণের বহু আগে থেকেই চল হয়েছে স্যানিটাইজারে হাত পরিষ্কার করে নেওয়ার।
অনেক জায়গায় পর্যান্ত পানি থাকে না সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য। তাই বিকল্প স্যানিটাইজারের ছোট্ট বোতল ব্যাগের এককোণায় নিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মধ্যে থাকা কড়া কেমিক্যাল কচি ত্বকের ভয়াবহ ক্ষতি করে।
১.শিশুদের জন্য কেমিক্যাল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজারের বদলে হাতে তুলে দিন নারকেল তেল বা অ্যালোভেরা জেল। এগুলি ত্বক নরম, আর্দ্র রাখার পাশাপাশি হাত জীবাণুমুক্ত করবে।
এতদিনে হয়ত খেয়াল করেছেন, অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কারের ফলে শিশুর ফুলের মতো নরম ত্বক শুষ্ক, কর্কশ হয়ে গেছে। হাতের পাতা জুড়ে ফুসকুড়ি, চুলকানির মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আর এর সমাধান লুকিয়ে প্রাকৃতিক স্যানিটাইজারে। ফলে, আজই বদলে নিন বাচ্চার স্যানিটাইজার।
২.বারেবারে হাত ধোয়া মানে জীবাণু ধ্বংস। তার ওপর কেমিক্যাল বেসড স্যানিটাইজারের গন্ধ বেশ আকৃষ্ট করে বাচ্চাদের। কিন্তু এই ধরনের কেমিক্যাল বেসড স্যানিটাইজার জীবাণু কতটা মারতে পারে সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই বাচ্চাদের জন্য কেমিকেল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজার ব্যবহার না করাই ভালো।
৩.অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজারে ৬০% বা তারও বেশি অ্যালকোহল থাকে। তাই বারেবারে হাতে দিলে ত্বক তো শুষ্ক করে ফেলে এমনকি ভুল করে গিলে ফেললে জীবন নিয়ে টানাটানি হবে। স্যানিটাইজারের আরেকটি ক্ষতিকর উপাদান হলো ট্রাইক্লোসেন।
এতে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান থাকলেও ট্রাইক্লোসেন নাকি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। তাই তিন বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের হাতে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ স্যানিটাইজার ভুলেও তুলে দেবেন না। বরং প্রাকৃতিক উপাদানে সমৃদ্ধ স্যানিটাইজার কিংবা লিক্যুইড সোপ ব্যবহার করতে দিন।
৪.বাজার থেকে নিয়ে আসা যেকোন উপকরণ সঙ্গে সঙ্গে তা বাচ্চাদের হাতে দেবেন না। পাশাপাশি, খুদে বাজার বা মুদির দোকান থেকে আনা কোনও সামগ্রী ধরলে সঙ্গে সঙ্গে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করুন। মনে রাখবেন, বারেবারে হাত ধোয়া মানেই রোগের থেকে দূরে থাকা।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি