যা ডালিম নামেও সুপরিচিত। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-টিউমার উপাদানের জন্য আনারের স্বাস্থ্যগুণ অনন্য। এছাড়া উপকারি ভিটামিনের প্রাচুর্য এই ফলটির গুণাগুণকে বাড়িয়ে দিয়েছে আরো বেশি।
তুলনামূলকভাবে আনারের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই এই ফলটিকে এড়িয়ে যান। ফলে শরীরে বেশ কিছু ঘাটতি থেকেই যায়। জেনে নিন আনারের চমৎকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা।
আনারে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি ও প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। যা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া নিয়মিত স্বল্প পরিমাণে আনার খাওয়ার ফলে মৌসুমি ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব হয়।
কমবেশি সকলেই নিশ্চয়য় জানেন, আঁশযুক্ত খাবার খাদ্য পরিপাকে সহায়ক। এই আঁশ পয়াওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজী থেকে। ফলের ভেতর আনার আঁশযুক্ত ফল হিসেবে বিশেষ পরিচিত। একটি মাঝারি সাইজের আনারে থাকে প্রায় ৪৫ শতাংশ আঁশ!
আনারে থাকা পিউনিসিক অ্যাসিড (Punicic Acid) হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা রক্তের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। খুব স্বাভাবিকভাবে রক্তে এই দুইটি উপাদান নিয়ন্ত্রণে থাকার ফলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গবেষকেরা সুপারিশ করেন, নিয়মিত ২৫০ গ্রাম পরিমাণ আনারের রস পানের ফলে প্রোস্টেট ক্যান্সারের বৃদ্ধি বন্ধ করা সম্ভব। পাশাপাশি আনারে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ ক্যান্সার কোষ তৈরিতে বাধা দান করে।
এক গবেষণা থেকে জানা যায়, স্মৃতিশক্তির সমস্যা থাকা কয়েকজনকে প্রতিদিন ২৩৭ মি.লি আনারের রস দেওয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায়, তাদের স্মৃতিশক্তিতে পূর্বের তুলনায় অনেকখানি উন্নতি দেখা দিয়েছে।
দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সুস্বাস্থ্যের জন্য নিশ্চয় প্রতিদিন মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করা হয়। অ্যালকোহলযুক্ত এই সকল মাউথওয়াশ ব্যবহার করা বন্ধ করে দাঁতের সুরক্ষায় আনার গ্রহণ শুরু করুন। এই ফলের কিছু উপকারি উপাদান দাঁতের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে। এক গবেষণা থেকে দেখা গেছে আনারে থাকা হাইড্রোঅ্যালকোহলিক উপাদান দাঁতের ক্ষয়রোগের সম্ভবনাকে কমিয়ে দেয় ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত।
অকালে বয়স্কভাব দেখা দেওয়ার জন্য মূলত দায়ী করা হয় ফ্রি-রেডিক্যালকে। এই ফ্রি-রেডিক্যালের ক্ষতিকর ও নেতিবাচক প্রভাবকে স্তিমিত রাখতে প্রয়োজন হয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের। দারুণ ফল আনারে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি-রেডিক্যালের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে।