নেইলপলিশ রিমুভারের যে আরও নানান ধরণের ব্যবহার রয়েছে সেটা সম্পর্কে জানা নেই অনেকের। তারই কিছু তুলে ধরা হলো আজকের ফিচারে।
ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপের কি-বোর্ড সবচেয়ে বেশি অপরিষ্কার হয় এবং এই জিনিসটিই সবচেয়ে কম পরিষ্কার করা হয়। কারণ কি-বোর্ড পরিষ্কার করা বেশ ঝামেলাযুক্ত বিষয়। নেইলপলিশ রিমুভার দিয়ে সহজেই এই কাজটি করা যাবে। একটি কটনবাডে নেইলপলিশ রিমুভার লাগিয়ে কয়েকবার ব্যবহার করলে পুরনো ময়লাও দূর হয়ে যাবে সহজেই।
কংক্রিট, লেমিনেট কিংবা টাইলসের মেঝেতে দাগ পড়লে সহজে উঠতে চায় না। কোন সমস্যা নেই। পুরনো তোয়ালের সাহায্যে নেইলপলিশ রিমুভার দিয়ে মেঝে পরপর কয়েকদিন পরিষ্কার করলে খুব সহজেই সকল দাগ উঠে যাবে। একইসাথে ঝা চকচকে হবে ফ্লোর।
বহুদিনের ব্যবহৃত চীনেমাটির পণ্যে খুব সহজেই চা, কফি কিংবা অন্যান্য মশলার দাগ পড়ে যায়। এই সকল দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন নেইলপলিশ রিমুভার। ডিজাইনের অংশ বাদ দিয়ে চীনেমাটির অংশে রিমুভার দিয়ে পরিষ্কার করলে সহজেই চা-কফির দাগ উঠে আসবে।
প্রিয় জুতা জোড়াকে নতুন করতে তুলতে খুব বেশি কিছু নয়, প্রয়োজন হবে নেইলপলিশ রিমুভারের। পরিষ্কার ও পাতলা কোন কাপড়ে নেইলপলিশ রিমুভার নিয়ে ধীরে ধীরে মুছলে মিনিট পাঁচেকের মাঝেই চকচকে হয়ে যাবে জুতা।
অসাবধানতায় কাপড়ে কিংবা হাতে-পায়ে সুপারগ্লু লেগে যায় অনেক সময়। সুপারগ্লুর স্ট্রং গ্লু সহজে উঠতে চায় না। একইসাথে ত্বকে বেশ জ্বালাপোড়া তৈরি করে। এই সময় অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে কাপড়ের সাহায্যে আক্রান্ত স্থানে নেইলপলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে সহজেই সুপারগ্লুর আস্তরণ উঠে আসবে।
নিয়মিত যে জিনিসটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা জীবাণুমুক্ত তো? স্বাভাবিকভাবেই রেজর ব্যবহার করা হয় শরীরের খুবই স্পর্শকাতর অংশে। ব্যবহৃত রেজর জীবাণুমুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। রেজর জীবাণুমুক্ত করতে প্রতিবার ব্যবহারের পর নেইলপলিশ রিমুভার দিয়ে ধুয়ে নিন এবং দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।