পুরো বছরটি বেশ ভালোভাবেই কাটিয়েছেন বলে আশা করছি। কিন্তু নিজের ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে একটু নজর দেওয়ার সময় এসেছে এখন। বছর জুড়ে মনের মতো ঘুরে বেড়ানো, কেনাকাটা, খাওয়াদাওয়া করলেও বছর শেষের সময়টাতে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
বছর শেষ হবার আগে যদি নিজের সঞ্চয় হয় একেবারে শূন্য, তবে ভুক্তভোগী হতে হবে খোদ নিজেকেই। জেনে নিন ২০১৮ শেষ হবার আগেই কীভাবে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভালো অবস্থায় আনবেন।
আরও পড়ুন: সুখী থাকতে হলে, হতে হবে ‘মিতব্যয়ী’
২০১৯ শুরু হবার আগে নিজের সঞ্চয় ও ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিন। এতদিনে কত টাকা খরচ করেছেন সেটার সঠিক হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে তাকিয়ে হতাশ হলে বুঝতে হবে প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি খরচ করে ফেলেছেন।
যেহেতু এতদিনে ইচ্ছামতো খরচ করেই ফেলেছেন, এই মুহূর্ত থেকে হিসেবি হয়ে উঠুন। প্রতিদিন বাইরে বের হবার বা অফিসে যাওয়ার জন্য খরচের টাকা হিসেব করে নিন। অকারণ বাড়তি খরচ আপনার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
দুই টাকা কিংবা পাঁচ টাকা এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে দশ-বিশ টাকাও আমরা হিসেবের ভেতরে ধরি না। যা খুবই ভুল। সংখ্যা হিসেবে যতই ছোট হোক না কেন, টাকার গুরুত্ব সবসময় সমান। যত্ন করে খুচরা টাকাগুলোও গুছিয়ে রাখুন। দেখবেন প্রয়োজনে দারুণ কাজে আসবে।
ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা আছে কি? দ্রুত ক্রেডিট কার্ডের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ করুন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নতুবা বছর শেষে বড় ধরণের ইন্টারেস্টের মুখোমুখি হতে হবে।
বছর শেষের দিকে অনেকেই নতুন ব্যবসা চালু করার কথা ভাবেন এবং সেই মতো কাজ করেন। আপনার পরিকল্পনাও যদি তেমনটাই হয়, তবে খুব বুঝেশুনে ও নানান দিক বিবেচনা করে ব্যবসার কাজে হাত দিন। ব্যবসা থেকে লাভ হলে খুবই ভালো কথা। কিন্তু যদি লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়, তবে যেন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত যেকোন ধরণের খরচ করা বন্ধ করে দিন। ঘরে যথেষ্ট শো-পিস থাকা স্বত্তেও ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে বলে অকারণে শো-পিস কেনা হবা অকারণ বাহুল্য খরচ। যা একেবারেই করা যাবে না।
আয়ের সাথে ব্যায়ের সামঞ্জস্য না থাকলে দিনশেষে ছোট-বড় বিপত্তিতে পড়তে হবে নিজেকেই। তাই বছরটি শেষ হবার আগে এবং নতুন বছর শুরু করার আগেই লাগাম টানুন নিজের খরচে ও নিয়ন্ত্রণে রাখুন নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স।