হৃদরোগের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়াই করবেন ভাবছেন? আজ থেকেই ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকটি খাবার বেছে নিন। ফল এবং শাকসব্জীর চেয়ে ভালো আর কোনো খাবার নেই তা আমরা সবাই জানি। তবে ফল এবং শাকসব্জী সহ আরও অনেকগুলো খাবার আমরা বেছে নিতে পারি। জেনে নিন সেই সমস্ত খাদ্য তালিকা যা সুস্বাস্থ্যের যাত্রা শুরু করতে সহায়তা করবে।
ছোলা কার্ডিওভাসকুলার পুষ্টিগুণ সম্পর্ণ। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাসিয়াম রয়েছে। শুধু তাই নয় ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি হৃদরোগের ঝুঁকিও হ্রাস করে।
এই তিক্ত পানীয়টি আমাদের হার্টের জন্য অতন্ত্য উপকারী। কফি করোনারি হার্ট ডিজিজ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি ক্র্যানবেরি বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি হার্ট সুস্থ রাখার পাশাপাশি ইউটিআই, মাড়ির রোগ, পাকস্থলীর আলসার এবং ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
ডুমুর হার্ট সুরক্ষিত করার জন্য পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। এই ফলটি ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারযুক্ত যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
যারা মাছ বা বাদাম খাওয়া পছন্দ করেন না তবে এখনও ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের প্রয়োজন তাদের ফ্ল্যাক্স বীজ খাওয়া উচিত। এই বীজগুলো সাধারণত টপিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইস্ট্রোজেন এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যা হার্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
লাল মরিচে ক্যাপসাইসিন থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
গন্ধযুক্ত এই মশলাটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
জাম্বুরা কোলিন, ফাইবার, লাইকোপিন এবং পটাসিয়ামযুক্ত। এই সমস্ত উপাদানগুলো হার্ট ভালো রাখার দুর্দান্ত উপায়। উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করার জন্য এটি অন্যতম পুষ্টিকর উপাদান।
গ্রিন টি একটি সতেজ পানীয় হিসাবে পরিচিত। গ্রীন টি তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ধমনী ফলক তৈরি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও গ্রিন টি এলএল, কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়।
কিডনি বিন ফোলেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনযুক্ত। কিডনি বিনে ফ্যাটও কম তবে ফাইবার বেশি। কিডনি বিন, মটরশুটি হোমোস্টিনের স্তর হ্রাস করতে এবং হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।